বইয়ের নাম— ‘গডম্যান টু টাইকুন, দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ বাবা রামদেব’। জুগারনাট প্রকাশনার সদ্য প্রকাশিত বইটির লেখিকা প্রিয়ঙ্কা পাঠক নারিন। শুধুই বাবা রামদেবের প্রশস্তি নয়, এই বইতে পতঞ্জলীর কর্তাকে নিয়ে নানা প্রশ্নও তুলেছেন প্রিয়ঙ্কা।
বছরের পর বছর ধরে নানা যোগাভ্যাসের প্রদর্শন করে বাবা রামদেব এখন বিশ্বখ্যাত। তবে এখন তাঁর আরও বড় পরিচয় পতঞ্জলী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। যিনি নানা অসুখের নিরাময়ের কথা বলেন সেই বাবা রামদেব ছেলেবেলায় কেমন অসুখে ভুগেছেন, কী ভাবে লড়াই চালিয়েছেন, রামদেবের জীবনের সেই সব অধ্যায়ের কথাও বলেছেন লেখিকা প্রিয়ঙ্কা পাঠক নারিন। সেই সঙ্গে তুলে এনেছেন অনেক কঠিন প্রশ্ন। আর তার মধ্যে লেখিকা সব থেকে বড় প্রশ্ন তুলেছেন রামদেবের গুরু শঙ্করদেবের উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে।
বাবা রামদেবের বইয়ের লেখিকা প্রিয়ঙ্কা নারিন। ছবি সৌজন্যে- জুগারনাট প্রকাশনা
লেখিকা জানিয়েছেন, বাবা রামদেবের গুরু ৭৭ বছরের শঙ্করদেব ২০০৭ সালে আচমকাই উধাও হয়ে যান। আজও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। জানা যায়, একদিন প্রাতর্ভ্রমণে বেড়িয়ে উধাও হয়ে যান তিনি। সেই সময়ে ব্রিটেনের পথে বাবা রামদেব। কিন্তু খবর পেয়ে তিনি ফিরে আসেননি। হরিদ্বারে এখন বাবা রামদেবের যে দিব্য যোগ মন্দির ট্রাস্ট, সেটি এবং তার বহুমূল্য জমি গুরু শঙ্করদেবই দান করেছিলেন।
এমন গুরু উধাও হয়ে যাওয়ার খবর পেয়েও বিদেশ সফর মাঝপথে বাতিল করেননি রামদেব। দু’মাস বাদে রামদেব ফেরেন। পুলিশ তদন্ত চালায় কিন্তু কোনও সমাধানে পৌঁছতে পারেনি। পরে ২০১২ সালে এই তদন্তের দায়িত্ব সিবিআই নেয় এবং এখনও সেই মামলা চলছে। আজও খোঁজ নেই শঙ্করদেবের।