বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। গুলিতে নিকেশ করা হল পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ডকে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলিযুদ্ধে মারা পড়েছে তিন জইশ জঙ্গি। নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে একজন মুদাশির আহমেদ খান। পুলওয়ামার হামলার অন্যতম চক্রী ছিল মুদাশিরই।
বছর ২৩-এর মুদাশির পুলওয়ামার বাসিন্দা। স্নাতকের পরে এক বছরের জন্য ইলেকট্রিক নিয়ে ডিপ্লোমা কোর্সও করে সে। ২০১৭ সালে জইশ-ই-মহম্মদে যোগ দেয় মুদাশির। শুরুতে জইশের পরোক্ষ সদস্য হিসাবে কাজ করত। জইশের সেই সময়ের কম্যান্ডার নুর মহম্মদ তান্ত্রে হাত ধরে ধীর ধীরে জঙ্গি সংগঠনের উপরে উঠতে শুরু করে মুদাশির। ২০১৭ সালে নুর মহম্মদ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যায়। তার পরেই সেনার উপরে বড়সড় হামলার ছক কষতে থাকে মুদাশির।
পুলওয়ামা হামলায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদকে খুঁজে এনেছিল মুদাশিরই। এমনকী, হামলায় ব্যবহৃত গাড়ি ও বিস্ফোরক জোগাড় করার দায়িত্বও সামলেছিল সে।
তবে শুধু পুলওয়ামাই নয়, সেনার উপরে আরও বেশ কয়েকবার হামলার চালানোর মূল মাথা মুদাসির। ২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে সুনজেওয়ানে সেনার উপরে জঙ্গি হামলার পিছনেও মুদাসিরের হাত ছিল। ওই হামলায় ৬ জন সেনা জওয়ান নিহত হয়েছিল। ২০১৮তে লাতেপোরায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে জঙ্গি হামলার মূল চক্রীও ছিল মুদাসির। সেই হামলায় ৫ সিআরপিএফ জওয়ান মারা গিয়েছিল। এমন একজন শীর্ষস্তরের কম্যান্ডার নিকেশ হওয়ায়, উপত্যকায় জইশ বড়সড় ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।