সাত বছর আগের কথা। সে বারেও বিহারে প্রবল বন্যা হয়েছিল। নীতীশ কুমার তখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। আর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারে ত্রানের জন্য গুজরাত সরকার সেই সময়ে পাঁচ কোটি টাকা সাহায্য করতে চেয়েছিল বিহারকে। কিন্তু এক কথায় সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। তখন বিজেপির সঙ্গে সখ্য ছিল নীতীশের। কিন্তু মোদীর রাজ্যের সাহায্য নিতে অস্বীকার করেন নীতীশ।
এটা ২০১০ সালের কাহিনি। এরও আগে ২০০৮ সালে কোশি নদী প্লাবিত হয়ে বিহারে বন্যার সময়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। নীতীশ কুমার ও নরেন্দ্র মোদীর ছবি একটি বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করার জন্য রীতিমতো রুষ্ট হয়ে ওঠেন। বাতিল করে দেন বিজেপি নেতাদের জন্য আয়োজিত নৈশভোজ। নীতীশ সেই সময়ে বলেছিলেন, গুজরাত সরকারের এই বিজ্ঞাপন ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে বিজ্ঞাপন করাটা অসভ্যতা।
জবার দিতে ছাড়েননি মোদীও। বিহারে গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে সেই পুরনো কথা তুলে খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘‘সেই সময়ে এক উদ্ধত নেতা বিহারের বন্যার্ত মানুষের কষ্ট আর পরিস্থিতির কথা ভাবেননি।’’
সময় বদলে গিয়েছে। কোশি কিংবা সবরমতি নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালে এনডিএ ছেড়ে দেওয়া এবং সম্প্রতি লালুপ্রসাদকে ছেড়ে ফের মোদীর হাত ধরে ‘পরিবর্তন’ দেখিয়েছেন নীতীশ। এবার সেই পরিবর্তনের হাত ধরেই নতুন এক ‘পরিবর্তন’ দেখল বিহার।
২০১০ সালে বন্যা ত্রানে গুজরাত সরকারের দেওয়া পাঁচ কোটি টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নীতীশ। ২০১৭ সালে বন্যা ত্রানের জন্য গুজরাত সরকারের দেওয়া সেই পাঁচ কোটি টাকার চেক নিতে কুন্ঠা দেখালেন না জনতা দল ইউনাইটেড নেতা নীতীশ কুমার।
শুক্রবার পটনায় এসে গুজরাতের রাজস্বমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ চুডাসমা নীতীশ কুমারের হাতে দিয়ে গেলেন পাঁচ কোটি টাকার চেক। সেই ছবি টুইটও করেছেন তিনি।