দিল্লির একই পরিবারের এগারোজনের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন নাটকীয় সংযোজন।
গত ১ জুলাই সকালে দিল্লির বুরারি এলাকার একটি বাড়ি থেকে ভাটিয়া পরিবারের ১১ জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পুলিশ। মৃতদের মধ্যে সাতজন মহিলা এবং চারজন পুরুষ। মৃতদেহগুলির চোখ এবং মুখে কাপড় বাঁধা ছিল।
তদন্তে নেমে একের পরে এক নতুন তথ্য পেতে থাকে পুলিশ, যা দেখে তারা চমকে যায়। উদ্ধার হওয়া একটি ডায়েরি পুলিশকে স্তম্ভিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল। দেখা যায়, পুঙ্খানুপুঙ্খ মৃত্যুদৃশ্য আগেই বর্ণিত ডায়েরিতে। এমনকি এই ‘মারণ ক্রিয়া’-র দিনক্ষণও পূর্ব নির্ধারিত ছিল।
এই রহস্য আরও নতুন মোড় নিল এবার। পুলিশ এমন কিছু নতুন তথ্য পেল, যা কার্যত তাদের কাছেই নতুন বিস্ময়। যেমন—
• ড্রয়ারে পাওয়া গেল আটখানা সাইলেন্ট মোবাইল ফোন।
• পুলিশ তল্লাশি চালাতে গিয়ে বাড়ির ছাদে এগারোটি গর্তের সন্ধান পেল। গর্তগুলি কিন্তু জলের উৎস নয়।
• বাড়ির সদর দরজায় ১১টি লোহার টুকরো বসানোর কারণ পরিষ্কার নয়।
• ওইদিন এই পরিবার রাতে বাইরে থেকে চাপাটি অর্ডার করেছিল।
• পুলিশ এই পরিবারের পোষা কুকুরটিকে দোতালায় বাঁধা অবস্থায় খুঁজে পায়। কুকুরটি অসুস্থ ছিল।
• মৃতদের কান ও মুখ তুলো ও টেপ দিয়ে বাঁধা ছিল।
পরিকল্পিত হত্যা, কোনও বিশেষ গোষ্ঠীর গোপন ক্রিয়াকলাপ? রহস্য ঘনাচ্ছে, জল গড়াচ্ছে, উত্তর এখনও অধরা।