রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের চাপ ছিলই। এখন শিবসেনাও রামমন্দির নির্মাণের জন্য চাপ দিচ্ছে। বিজেপির অন্দরেও অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তিন রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পরে আরও সরব হয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। খোদ সঙ্ঘ-প্রধান মোহন ভাগবত সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে চাপ তৈরি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব মুখ খুললেও নীরব ছিলেন মোদী। অবশেষে মঙ্গলবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের বক্তব্য জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন তিনি জানিয়েছেন, অযোধ্যায় বিতর্কিত সৌধ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট মতামত জানানোর পরেই কেন্দ্রীয় সরকার অর্ডিন্যান্স আনার কথা ভাববে। উল্লেখ্য, কদিন আগেই রাম মাধব জানিয়ে দেন— ইতিমধ্যেই অর্ডিন্যান্স আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এদিন কার্যত সেই দাবিকে নস্যাৎই করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বুঝিয়ে দিলেন, আগের সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সঙ্ঘ পরিবারের দাবি— যে ভাবে তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন আনতে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্র সেভাবে রামমন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রেও তাই করা হোক। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে বলেছিলাম সাংবিধানিক নিয়মকানুনের মধ্যে থেকেই অযোধ্যা ইস্যুতে সমাধান সূত্র বের করা হবে। আগে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাক। তার পরে সরকার যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।’’
ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করা হয়েছে। যাতে প্রতিদিন শুনানি চলে সেই দাবিও জানানো হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ৪ জানুয়ারি শুরু হতে পারে শুনানি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘তিন তালাকের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেলার পরেই সরকার পদক্ষেপ করে। এক্ষেত্রেও সেটাই করতে চায় কেন্দ্র।’’