স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে চূড়ান্ত লাঞ্ছনার মুখে পড়লেন ২৮ বছরের এক গর্ভবতী। অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত এক ঝামেলায় সিপিএম কর্মীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি আহত হন। তাঁর পেটে লাথি মারে কর্মীরা। পরদিন ওই মহিলা এক মৃত সন্তানের জন্ম দেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় অভিযোগ উঠছে সিপিএমের দিকে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কেরলের কোঝিকোড় জেলায়। একটি জমির সীমানা নিয়েই গণ্ডগোল। নিগৃহীতার স্বামী জানিয়েছেন, এর আগে সিপিএম নেতা সইদালভি ও অন্যান্য কয়েকজন মিলে তাঁকে ওই জমির ব্যাপারে হুমকি দিয়েছিলেন। থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। এর পর ২৮ জানুয়ারি রাতে দল বেঁধে কয়েকজন সিপিএম কর্মী আক্রমণ চালায় তাঁদের বাড়ি। ঘর থেকে বের করে তারা মারতে থাকে ওই ব্যক্তিকে।
এই সময়ই স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ওই মহিলা। অভিযোগ, তাঁকে মাটিতে ফেলে নৃশংসভাবে মারধর করে সিপিএম কর্মীরা। তাঁর পেটে লাথি মারে। পরের দিন ওই মহিলা এক মৃত সন্তানের জন্ম দেন। ঘটনার পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওই মহিলার স্বামীর। ঘটনা মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে অবশেষে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। বুধবার স্থানীয় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান ওই দম্পতির পরিবার।
অবশেষে পুলিশ ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। সিপিএমের কেরল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই গণ্ডগোলের সঙ্গে দল কোনও ভাবেই জড়িত নয়। যদি কোনও নেতা ব্যক্তিগত ভাবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন, তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।