রাম মন্দির নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরে। আরএসএস, শিবসেনা-সহ বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এবং সাধু-সন্তরাও রাম মন্দির নিয়ে মোদীকে কার্যত চাপে রেখে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে সুরাহা না মিললে অর্ডিন্যান্স আনার জন্যও চাপ বাড়াচ্ছে সঙ্ঘ পরিবার।
লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন চাপের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে মামলার নিষ্পত্তি হোক। তার পরে কেন্দ্রীয় সরকারের যা কর্তব্য তাই করা হবে। মন্দির নির্মাণের বিষয়টি সংবিধান মেনেই হবে।’’ সুপ্রিম কোর্টের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার অনেকটাই স্বস্তি দিল সর্বোচ্চ আদালত।
এদিন অযোধ্যা মামলার শুনানির দিন স্থির করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুনানি শুরু হবে। তিন সদস্যের নতুন বেঞ্চে হবে শুনানি। শুক্রবার মাত্র ৬০ সেকেন্ডের শুনানি হয়। তার মধ্যেই নতুন বেঞ্চের কথা জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তিন সদস্যের বেঞ্চই স্থির করবে পরবর্তী শুনানির দিন।
এর আগে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রতিদিন শুনানি চালালে দশ দিনের মধ্যে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে। কিন্তু ১০ জানুয়ারি থেকে কী ভাবে শুনানি হবে তা এখন স্পষ্ট নয়। তবে এটা ঠিক যে সঙ্ঘ পরিবারের চাপের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট শুনানি শুরু করে দিলে অনেকটাই স্বস্তি পাবেন মোদী, শাহরা।
গত পয়লা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি কংগ্রেসকে অনুরোধ করছি, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির স্বার্থে, এই মামলায় বাধা সৃষ্টির পথ থেকে আপনাদের আইনজীবীদের বিরত করুন। মামলাটাকে নিজের গতিতে চলতে দিন। মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যেই আমাদের সবার কাজ করা উচিত।’’ সুতরাং, মামলা যদি ধীর গতিতে হয় তবে তার জন্যও কংগ্রেসকে দায়ী করার কাজটা সেরে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে কিছুটা হলেও চাপ রইল কংগ্রেসের উপরে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে অযোধ্যা মামলা জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার-সহ বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে। তখনই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, জরুরি ভিত্তিতে নয়, পরবর্তী শুনানি কবে সেই বিষয়টি স্থির করা হবে ২০১৯-এর ৪ জানুয়ারি। এদিন সেই শুনানিতেই নতুন বেঞ্চ গঠনের কথা জানালেন প্রধান বিচারপতি।