আশা ছিল বৃহস্পতিবার এক যুগান্তকারী রায় ঘোষণা হওয়ার। যা হয়তো ভারতে বৃহত্তর সমকামী সমাজের আইনি অধিকারকে শুধু প্রতিষ্ঠাই করতো না, সেইসঙ্গে দীর্ঘদিনের এক সামাজিক বৈষম্যেরও অবসান ঘটাত।
কিন্তু, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৪ সালে সমকামীদের যে নির্দেশিকা তারা দিয়েছিল তা কোনওভাবেই সংশোধন করা হবে না। ফলে, ২০১৪ সালের সমকামীদের সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠা থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংরক্ষণের জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশিকা দিয়েছিল তাতে সংযোজিত হতে পারছে না গে, লেসবিয়ান বা উভকামীরা। সুপ্রিম কোর্টে এদিন সাফ জানিয়েছে, গে, লেসবিয়ান বা উভকামীদের তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।
২০১৪ সালে সমকামীদের তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশিকায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল হিজড়া এবং রূপান্তরকামীদের এর আওতায় আনতে হবে। কিন্তু, সেখানে গে, লেসবিয়ান বা বাইসেক্সুয়ালদের কথা বলা ছিল না।
এই প্রসঙ্গেই এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল মনিন্দর সিংহ এবং গে, লেসবিয়ান ও বাইসেক্সুয়ালদের আইনজীবী আনন্দ গ্রোভার নির্দেশিকা সংশোধনের দাবি জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে জানানো হয়, তৃতীয় লিঙ্গের যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল, তাতে কারা থাকবে সেই বিষয়টি অস্পষ্ট। আনন্দ গ্রোভারও জানান, সমাজের স্বার্থে গে, লেসবিয়ান এবং বাইসেক্সুয়ালদেরও তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দেওয়া দরকার।
বিচারপতি এ কে শিকরি এবং এন ভি রামানার বেঞ্চ জানায়, ‘রূপান্তকামীদের তালিকায় কখনই গণ্য করা যাবে না গে, লেসবিয়ান এবং বাইসেক্সুয়ালদের। অভিধানে দেখলে গে, লেসবিয়ান এবং বাইসেক্সুয়ালদেরও রূপান্তরকামীদের মধ্যে ফেলা হয়েছে। তবে, ২০১৪ সালে নির্দেশ দেওয়ার সময় এত বৃহত্তর মানে দেখে নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। সুতরাং, যা আছে নির্দেশিকা তেমনই থাকবে। কোনও পরিবর্তন হবে না।’