পুলওয়ামা ঘটনার ১২ দিনের মাথায় বদলা। ঠাণ্ডা মাথায় ছক কষে জইশ জঙ্গি ঘাঁটি সাফ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এ যেন সিনেমারই রি-প্লে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় সেনা পাক সীমান্ত পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল। সেবারও সীমান্তের ওপারে জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাড উড়িয়ে দেয় ভারতের সেনা জওয়ানরা। তা হলে এবার কেন বায়ুসেনা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত?
ভারত আসলে সরাসরি জইশ জঙ্গিদের হৃৎপিণ্ডটাই গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।
• পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোট হল ফিদায়েঁ জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের আখড়া। ভারত চাইছিল এই আত্মঘাতী জঙ্গি তৈরির কারখানা গুড়িয়ে দিতে। কিন্তু সীমান্ত থেকে ৮০ কিমি দূরত্বে অবস্থান হওয়ায় সেখানে স্থলসেনা পাঠানো মুশকিল।
• মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমানকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের মাটির উপরে এক হাজার কেজি বোমা ফেলে বায়ুসেনার ক্ষমতাও বুঝিয়ে দিয়েছে।
• বালাকোট বেশ দুর্গম অঞ্চল। পাশেই বইছে কানহার নদী। এখানেই কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই শেখানো হতো জঙ্গিদের। দীর্ঘ দিনের খারাপ আবহাওয়াই চলছে বালাকোটে। এই কারণেই ভারতীয় সেনা সিদ্ধান্ত নেয় এখানে বায়ুসেনা পাঠানোই ঠিক।
• সূত্রের খবর পাক প্রধান ইমরান খানের বাসস্থান থেকে বালাকোট খুব দূর নয়। নাকের ডগায় জঙ্গিডেরা, তা ইমরান জানেন না, এমনটা খুব যুক্তিসংগত নয়। এই কারণেই বালাকোটকে বেছেছে ভারতীয় সেনা।