৮ নভেম্বরের পর থেকেই নয়া ৫০০ টাকা এবং ২০০০ টাকার নোট নিয়ে তুমুল টালমাটাল পরিস্থিতি। তার মধ্যে নয়া নোটে ২০০০ টাকারই দাপট বেশি। সেই তুলনায় ৫০০ টাকার নয়া নোট পাওয়াই যাচ্ছে না। হাইভ্যালু ২০০০ টাকার নোট নিয়ে দিশেহারা আম-আদমিও। কারণ, ২০০০ টাকার নোট ভাঙাতে গিয়ে চরম হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। ৫০০ টাকার নয়া নোট অমিল হওয়ায় ২০০০ টাকার নোট ভাঙানো কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে, আম-আদমি এখন গাল পাড়ছে ২০০০ টাকার নোটকে। সকলেরই প্রশ্ন— পর্যাপ্ত ৫০০ টাকার নয়া নোট বাজারে না ছেড়ে ২০০০ টাকার নোট কেন ছাড়া হল?
এই নিয়ে এখন নানা ধরনের যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি যুক্তি এই মুহূর্তে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। কী সেই যুক্তি? বলা হচ্ছে, কালো টাকার কারবারিদের জব্দ করতেই সরকার ইচ্ছে করে ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছেড়েছে। সরকার জুন মাসেই নাকি ২০০০ টাকার নোট বাতিল করে দিয়ে নয়া ১০০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়বে বলেও দাবি করা হয়েছে এই ভাইরাল খবরে।
আরও পড়ুন...
নোট ছাপিয়ে ছাপিয়ে ক্লান্ত ট্যাঁকশাল? বন্ধ নোট ছাপানো? আশ্বস্ত করছে আরবিআই
এখনও ধরে রেখেছেন অচল নোট? আরবিআই কিন্তু এই কাজটা শুরু করে দিয়েছে
কিন্তু, ২০০০ টাকার নোটে কীভাবে জব্দ হবেন কালো টাকার কারবারিরা? দাবি করা হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছেড়ে ৫০০ টাকার নয়া নোটের জোগানে সরকার নিয়ন্ত্রণ এনেছে। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। কালো টাকার কারবারিরা এই ফাঁদে পড়ে ২০০০ টাকার নোটই সংগ্রহ করতে বাধ্য হবেন। এর ফলে ৫০০ টাকার উপরে কালোবাজারি হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে বলে নাকি সরকার বিশ্বাস করছে। কালোবাজারির দল এই তত্ত্ব বোঝার আগেই নাকি সরকার আরও একটা ধাক্কা দেবে ২০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করে। ভাইরাল হওয়া খবরের দাবি, এই ধাক্কা কালো টাকার কারবারিদের দেওয়া হবে জুন মাসে। সরকার নাকি তেমনই পরিকল্পনা এঁটেছে। এই খবরের সত্যতা অবশ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ভাইরাল হওয়া ২০০০ টাকার নোটের এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই আম-আদমির মধ্যে আতঙ্ক যে ছড়াবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।