ইতিমধ্যেই ঘর জুড়ে বিরাজ করছে ২০ জন। ব্রিটেনের বৃহ্ত্তম পরিবার র্যাডফোর্ডদের বাড়িতে আবার খুশির হাওয়া। মায়ের কোল আলো করে এসে গিয়েছে ২১ নম্বর!
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সু এবং নোয়েল র্যাডফোর্ডের ২১ তম সন্তানটি একটি কন্যা। মাত্র ১২ মিনিটের প্রসব যন্ত্রণার পরে সে ভূমিষ্ঠ হয়েছে ৬ নভেম্বর। তার ওজন ৮ পাউন্ড ৪ আউন্স।
র্যাডফোর্ড পরিবারের বাকি ২০ সদস্য, অর্থাৎ সু ও নোয়েলের অন্যান্য ছেলে-মেয়েরাও দেদার খুশি এই নতুন বোনের আগমনে। নতুন এই সদস্যের নাম রাখা হয়েছে ‘বনি’।
৪৩ বছর বয়স্ক সু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই কন্যাই তাঁদের শেষ সন্তান। এর পরে তাঁরা আর সন্তান চান না। ৪৭ বছর বয়স্ক নোয়েলের বক্তব্য— ‘‘বেশির ভাগ লোক যেখানে দুই বা তিন সন্তানের পরেই ক্ষান্ত হয়, আমরা সেখানে ২১-এ দাঁড়ি টানলাম।’’
নতুন সন্তানের আগমনে এই ভিডিও-ই পোস্ট করেছেন র্যাডফোর্ডরা
৪৩ বছর বয়সে ২১ বার গর্ভবতী হয়েছেন সু। তবে তিনি আর গর্ভাবস্থাকে ‘মিস’ করবেন না। তাঁর প্রেগন্যান্সির পোশাকগুলোতে এবার তিনি ছুটি দেবেন।
সু আরও জানিয়েছেন, তাঁকে হাসপাতালের ধাত্রীরা বলেছেন, ‘আসছে বছর আবার দেখা হবে’। কিন্তু তিনি বলেছেন, একেবারেই না।
তাঁরা যে ২১ নম্বরের আগমনের প্রতীক্ষা করছেন, তা সু ও নোয়েল তাঁদের পারিবারিক ইউটিউব চ্যানেলেই এক ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছিলেন গত মে মাসে। ইনস্টাগ্রামে গর্ভস্থ সন্তানের আলট্রাসাউন্ড ছবিও পোস্ট করেন তাঁরা।
২০১৭-এ তাঁদের একটি পুত্র সন্তান হয়। এটাই শেষ বলে তাঁরা সেই সময়ে ঘোষণাও করেছিলেন। কিন্তু মাসখানেক পরেই ২১তমের আগমনবার্তা স্পষ্ট হতে সুরু করে।
র্যাডফোর্ড পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তানের বয়স এখন ৩০ বছর। সেই হিসেবে দেখলে, গত তিন দশক ধরে সু মা হয়েছেন। ২০১৪-এ একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন সু। কিন্তু বাকি সন্তানরা সকলেই সহি ও সালামত রয়েছে।
এই বিপুল পরিবার প্রতিপালনে ব্যয় হয় বছরে ৩০,০০০ পাউন্ড। ভারতীয় অর্থমূল্যে যা প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা।