সম্পর্ক যে মুহূর্তে তৈরি হয়, তখনই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। আর তেমনটা হওয়ার কারণ নানাবিধ হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্পর্ক ভাঙে বনিবনা না হওয়ার জন্য। কিন্তু কোনও মানুষের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলেই সেই মানুষটি ‘খারাপ’, এমন তকমা লাগানো যেতে পারে কি?
সাইকোথেরাপিস্ট এরিন লিওনার্দের মতে, কিছু কিছু মানুষ সম্পর্কে জড়ানোর জন্য হয়তো আদর্শ নন, অর্থাৎ তাঁরা সম্পর্ক তৈরি করার পক্ষে ‘খারাপ’ কিন্তু তার মানে এই নয় যে সেই মানুষটি ‘খারাপ’।
সাধারণত দীর্ঘদিন সম্পর্কের পরে পার্টনার ব্রেক আপ করলে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েন এবং সেটা পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে। কেউ কেউ কথা বলে, শান্তভাবে সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং সেটাই সঠিক পদ্ধতি। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে আবার সম্পর্কের শেষটা খুব শান্তিপূর্ণ হয় না, কখনও কখনও ভায়োলেন্সও এসে পড়ে।
এই জাতীয় ঘটনার পরেই বেশিরভাগ মানুষের কাছে তখন দূরে সরে যাওয়া ‘অন্য’ মানুষটি ‘ভিলেন’ হয়ে ওঠেন। খুব কম সংখ্যক মানুষই এই পর্যায়টিতে আবেগ সরিয়ে রেখে যুক্তি দিয়ে বিচার করতে বসেন। কারণ বহু অভিমান বা ক্ষত তখন মনের অনেকটা অংশ জুড়ে থাকে। তাই চরিত্র বিশ্লেষণটা সব সময় ঠিক নিরপেক্ষ হয় না।
তাই সম্পর্ক ভাঙলে বা ব্রেক আপ হলেই অন্য মানুষটিকে নিয়ে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা না করাই ভাল। বেশ অনেকটা দিন কাটার পরে, আবেগ স্তিমিত হলে, তার পরেই এই বিশ্লেষণ করতে বসা উচিত যে আসলে কি সেই মানুষটিই খারাপ ছিল নাকি সেই মানুষটি সম্পর্ক তৈরি করার পক্ষে উপযুক্ত ছিল না।