৮.২ ওভার। এর মধ্যেই ৩০ রান খরচ করে খাতায় ৫ উইকেট। এক ওভার মেডেন-ও নিয়েছেন। সচিনের পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকর ফের সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের সুবাদে। অর্জুনের দাপটেই ভিনু মাঁকড় ট্রফি-তে গুজরাত গুটিয়ে গেল মাত্র ১৪২ রানে। ৩৮ ওভারে স্বল্প এই টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুম্বই দ্বিতীয় ইনিংসে এই রান তুলে ফেলল মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে।
প্রথম ম্যাচেই মুম্বইয়ের জয়ে নায়ক সচিন-পুত্র। বাঁ হাতি পেসারের সামনে কার্যত কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি গুজরাত।
দিনের দ্বিতীয় বলেই অর্জুন ওপেনার ওয়ার্দমান দাতেশ শাহের স্ট্যাম্প ছিটকে দিয়ে গুজরাতের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন। এর পরের দুই ব্যাটসম্যানকেও অর্জুন যখন ফিরিয়ে দেন, তখন স্কোরবোর্ডে গুজরাত ১৬/৩। অর্জুনের দেখাদেখি বাকি বোলাররাও ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েন।
উমাঙ্গ ও জয়মিত পটেল ৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে না তুললে গুজরাতের অবস্থা আরও শোচনীয় হত। ৭৭/৭ থাকার সময়ে ফের ব্রেক থ্রু এনে দেন অর্জুন। ধ্রবঙ্গ পটেলকে এর পরে আউট করে নিজের পঞ্চম শিকার সম্পন্ন করেন উঠতি তারকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বইয়ের দুই ওপেনার শুভেদ পার্কার (৬৭), দিব্যাংশ (৪৫) ১০৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান। প্রগনেশ কানপিলেওয়ার এর পরে ক্রিজে নেমে মুম্বইয়ে টার্গেটে পৌঁছে দেন।
অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে এই মরশুমই অর্জুনের শেষ। কারণ পরের বছরে ২০-তে পা দিচ্ছেন তিনি। বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণেই পরবর্তী যুব বিশ্বকাপেও খেলতে পারবেন না। চলতি বছরের জুলাইয়েই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যুব দলের হয়ে টেস্টে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল তাঁর। ৩টে উইকেটও দখল করেছিলেন। এমন মারকাটারি পারফরম্যান্সের পরে রাজ্যস্তরে সিনিয়র লেভেলে খেলার জন্য কবে ডাক পান, সেটাই আপাতত দেখার।