প্রথমে ভাবা গিয়েছিল কেবলমাত্র পাকিস্তান ম্যাচে অংশ না নিয়েই হয়তো ভারত বিশ্বকাপে ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’ জানাবে। তবে পুলওয়ামা কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত পাকিস্তানকে এত সহজে ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়। সূত্রের খবর, ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ আয়োজন যাতে পাকিস্তানকে ছাড়াই হতে পারে, সেই বিষয়েই এখন থেকে কোমর বেঁধে আইসিসি-র কাছে যাচ্ছে ভারত। বিসিসিআইয়ের অন্দরমহলের রিংটোন বেশ পরিষ্কার, বিশ্বকাপে হয় ভারত থাকবে না হলে পাকিস্তান।
সর্বভারতীয় এক প্রচারমাধ্যমে এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরা ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছে, আইসিসি-র দরবারে পাকিস্তানকে পুরোপুরি একঘরে করে দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করা হবে। এই মর্মে আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের কাছে পাঠানোর জন্য চিঠিও তৈরি করছে ভারত।
জানা গিয়েছে, বিসিসিআইয়ের তরফে সিওএ-র চেয়ারম্যান বিনোদ রাইয়ের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই সিইও রাহুল জহুরি বিশ্বকাপে পাকিস্তান বধের চিত্রনাট্য তৈরি করছেন। বোর্ডের অন্দরমহলের এক সূত্র জানিয়েছেন, ‘‘সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পরে বোর্ড চাইছে আইসিসি পাকিস্তানকে বিশ্বকাপে খেলা থেকে নিষিদ্ধ করুক।’’
সমস্ত আইনি দিক এবং খুটিনাটি বিষয় পর্যালোচনা করার পরে শীঘ্রই বিনোদ রাই সরকারি ভাবে এই খবর জানাতে পারেন। এখন প্রশ্ন আইসিসি-র উপরে চাপ প্রয়োগ করে সত্যিই কি পাকিস্তানকে বিশ্বকাপে খেলা থেকে বঞ্চিত রাখতে পারে ভারত? ঘটনা হল, আইসিসি কোনও একটি দেশের রাজনৈতিক চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করে কোনও দেশকে খেলা থেকে বাদ দিতে পারে না।
তবে আইসিসি-র কোষাগার ভরিয়ে দেওয়া ভারতকে চটিয়েও বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব নয়। আইসিসি-র কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান হিসেবে থাকছে, নথিভুক্ত বাকি ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে এই ইস্যুতে ভোটাভুটির আয়োজন করা। তার আগে অবশ্য ভারতকে অন্যান্য দেশগুলিকে এই ইস্যুতে রাজি করাতে হবে। বিসিসিআই কি পারবে, নিজেদের প্রবল প্রতাপ খাটিয়ে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দিতে? সেটাই আপাতত দেখার।