ইনিয়েস্তা, জাভিরা বিপ্লব এনেছিলেন বিশ্বফুটবলে। অ্যারাগোনেসের দল ২০০৮ ইউরো চ্যাম্পিয়ন। দু’ বছর বাদে ভিসেন্তে দেল বস্কির ছেলেরা দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তার ঠিক দু’ বছর বাদে আবারও ইউরোপসেরা বুল ফাইটিংয়ের দেশ। টিকিটাকা ফুটবলে মজেছিল ফুটবলবিশ্ব।
দাদা’দের ছোঁয়ার সন্ধিক্ষণে ভাইরা। মে মাসে ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ইউরোপসেরা হয়েছিল স্পেন। ছ’ মাস বাদেই আবার মুখোমুখি দুই দেশ। এ বার বিশ্বকাপের ফাইনাল। স্পেনের যুব দল জিতলে ইউরোর পরে বিশ্বকাপ জেতার নজির গড়বে এই স্পেন।
ফাইনালের বল গড়ানোর আগে অনেকেই বলতে শুরু করে দিয়েছেন, এই ফাইনাল ইউরোর কার্বন কপি। ইংল্যান্ড সমীহ করছে স্পেনকে। আবার স্পেনও তাই। স্পেনের ফেরান তোরেস, রুইজ দারুণ ফর্মে রয়েছে এই টুর্নামেন্টে। ইংল্যান্ডের ব্রিউস্টারও হ্যাটট্রিক করে ইতিমধ্যেই নায়ক বনে গিয়েছে।
এহেন স্পেনের অনুশীলনে অভিনবত্ব। অনুশীলন চলাকালীন উড়ল ড্রোন। সেই ড্রোন আবার স্পেনের জাতীয় দলের টেলিভিশন সেফুটবলডটকম-এর। স্প্যানিশ যুব বিশ্বাকাপারদের অনুশীলন ক্যামেরাবন্দি করার জন্যই সেফুটবলডটকম ড্রোন উড়িয়েছে। সেই ভিডিও দেখানো হবে ম্যাচের দিন সকালে।
এ যাবৎ যুব বিশ্বকাপে কোনও দলের অনুশীলনেই ড্রোন উড়তে দেখা যায়নি। ড্রোনের মাধ্যমেই স্প্যানিশ যুব দলের অনুশীলনের ছবি তোলা হয়েছে। কলকাতার কোনও ক্লাবের অনুশীলনেও ড্রোন উড়তে দেখা যায়নি। যুববিশ্বকাপের সৌজন্যে উড়ল ড্রোন। সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে, যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল নয়, আসলে হচ্ছে যুদ্ধ।