মাঠের মধ্যে জঘন্য পারফরম্যান্স! মাঠের বাইরেও খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কর্তারা। রবিবারের সল্টলেক স্টেডিয়াম দেখিয়ে দিল মাঠ ও মাঠের বাইরে ইস্টবেঙ্গলের একই রূপ। সব মিলিয়ে বড় ম্যাচের শেষে বেকায়দায় ইস্টবেঙ্গল।
কী হল? রবিবারে দুপুরে মিঠেকড়া রোদে সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়েই থমকাতে হল। সামনেই দেখা গেল একাগাদা ইস্টবেঙ্গল তারকা ফুটবলারদের ভিড়। নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বেশ নিমগ্ন আলোচনা সারতেও দেখা গেল দীপক কুমার, মেহতাব সিংহ, গুরবিন্দর সিংহ, কমলদীপ সিংহদের। কী হয়েছে? সেই মুহূর্তে বোঝা গেল না।
বিরতির সময় স্টেডিয়ামের বাইরে আসতেই ফের চমকাতে হল। তখনও ঠায় দাঁড়িয়ে লাল-হলুদের চার তারকা ফুটবলাররা। নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেই উঠে এল বিতর্কিত ঘটনার রসদ।
টিকিট না পাওয়ায় ডার্বি দেখতে পারলেন না ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। নিজস্ব চিত্র
রবিবার মহারণে ডার্বির প্রথম একাদশে জায়গা মেলেনি দীপক কুমার, মেহতাব সিংহ, গুরবিন্দর সিংহদের। তবে খালিদের একাদশ থেকে ব্রাত্য হয়ে মাঠে বসেও ডার্বির উত্তাপে গা সেঁকতে পারলেন না ইস্টবেঙ্গলের চার ফুটবলার।
প্রথম একাদশে সাধারণত জায়গা না পেলে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারকে দু’টি করে ম্যাচ টিকিট দিয়ে থাকেন দুই প্রধানের কর্তারা। দিয়েগো ফেরেইরা যেমন। ডার্বিতে সঞ্জয় সেন মাঠে না নামালেও, ক্লাব কর্তাদের কাছ থেকে সযত্নে তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল জোড়া টিকিট। প্রথম ডার্বিতে বাড়তি একটি টিকিট এক সমর্থককে বিলিয়েও দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা।
পাশাপাশি ‘আয়োজক’ মোহনবাগান প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশের বাইরের ফুটবলারদের জন্যও টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছিল। কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতেই নয়া ‘ঘটনা’।
ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী থাকল মেগা ডার্বি। প্রথম একাদশের পাশাপাশি মাঠে খেলা দেখা থেকেও বঞ্চিত হতে হল গুরবিন্দরদের। ম্যাচ দেখতে এসে স্টেডিয়ামের বাইরে প্রায় ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হল তাঁদের। কারণ, তাঁদের কাছে ক্লাবের তরফে কোনও টিকিটই দেওয়া হয়নি।
ক্লাব কর্তাদের ফোন করা হলেও মেলেনি জবাব। ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ায় সম্ভবত সাড়া মেলেনি। পাশাপাশি, নিরাপত্তারক্ষীরা বলতে ফুটবলারদের শৃঙ্খলার ‘পাঠ’ দিতে থাকেন। অনেক অনুরোধ-উপরোধেও মেলেনি সবুজ সঙ্কেত।
সব দেখে-শুনে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসেন গুরবিন্দররা। মাঠে বসে সতীর্থদের পারফরম্যান্স চাক্ষুস দেখতে পারলেন না ইস্টবেঙ্গল তারকাদের।
গত মরশুমে গুরবিন্দর ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বর্ষসেরা ফুটবলার। ক্লাবের ঐতিহাসিক টানা আটবার কলকাতা লিগ জয়ী দলেরও সদস্য পঞ্জাবপুত্তর। ক্লাবের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখিয়ে অন্য ক্লাবেও নাম লেখাননি তিনি।
খালিদ জমানায় ব্রাত্য তিনি। এখন ডার্বির ২৪ জনের দলেও জায়গা মেলেনা তাঁর। প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, ক্লাব অন্ত প্রাণ গুরবিন্দরের এমন অসম্মান প্রাপ্য কিনা! সিনিয়র ‘গুরি’র পাশাপাশি উঠতি প্রতিভা মেহতাব সিংহ, দীপক কুমার, কমলদীপ সিংহদের কাছেও বা কী বার্তা দিল ক্লাব?