তিনি আজ ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে নেতৃত্ব দেননি। তাঁর সতীর্থরা যখন শিলংয়ে গা ঘামাচ্ছেন, তখন তিনি টেলিভিশনে চোখ লাগিয়ে বসে। ইস্টবেঙ্গল-শিলং লাজং ম্যাচটা ড্র হতেই যেন স্বস্তি ফিরে পেলেন এডুয়ার্ডো।
সোমবার রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মিনার্ভার কর্ণধার রঞ্জিৎ বাজাজ বলে দিয়েছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে এডুয়ার্ডোর অনুপস্থিতিটা বড় বেশি প্রকট হয়ে দেখা গেল।’’
আর তিনি এডুয়ার্ডো এসব প্রশংসাকে তোয়াক্কাই করছেন না। অন্য কোনও দিকে তিনি তাকাচ্ছেনও না।
এবেলা.ইন-কে ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার প্রথমেই দৃঢ় গলায় বললেন, ‘‘আইলিগ আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব। ঈশ্বর আমাদের সহায়।’’
ভাগ্যদেবী কীভাবে সহায় হল ইস্টবেঙ্গলের? নিন্দুকেরা তো ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করে দিয়েছেন, ‘‘যে দল সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারে না, সেই দল কীভাবে জেতার আশা করে!’’ নিন্দুকদের কথাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার। এডু বলছেন, ‘‘আজ তো একটা সময়ে লাজংয়ের বিরুদ্ধে পিছিয়ে ছিলাম। শেষের দিকে সমতা ফেরানোয় চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে আমরা তো এখনও টিকে রেয়ছি। আজ যদি হেরে যেতাম তাহলে তো সবই শেষ হয়ে যেত। ৮ তারিখের নেরোকা ম্যাচে আমাদের ফোকাস রাখতে হবে। ম্যাচটা জিততেই হবে। এছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’’
পয়েন্ট টেবলে মিনার্ভা এখন একনম্বরে। আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা পঞ্জাবের দলটিরই বেশি। নেরোকা, মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলেরও আইলিগ ঘরে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। কথোপকথনের মাঝেই এডু সাপলুডোর হিসেবে মেতে উঠলেন। বললেন, ‘‘মিনার্ভা আর মোহনবাগান যদি পয়েন্ট নষ্ট করে আর আমরা যদি জিতে যাই, তাহলে আমরাই চ্যাম্পিয়ন। চার্চিলের বিরুদ্ধে সহজে জিততে পারবে না মিনার্ভা। মরণকামড় দেবে চার্চিল। গোকুলামের ঘরের মাঠে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে মোহনবাগানকেও। বিশেষ করে গোকুলাম শেষের দিকে এসে বেশ ভাল খেলছে। কলকাতায় এসে মোহনবাগানকে হারিয়ে গিয়েছে ওরা। আমরা গোকুলামের ঘরের মাঠে গিয়ে হেরেছি। ফলে আশা হারাচ্ছি না।’’
এডু ফুটবলার। নব্বই মিনিট পর্যন্ত তিনি দাঁতে দাঁত কামড়ে লড়ে যান। এদিন ইস্টবেঙ্গল ড্র করায় সমর্থকরা যখন দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন, তখন এডুর কথাগুলো যেন সুবাতাস বয়ে আনছে। নেরোকা ম্যাচে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি যেন সোমবারই দিয়ে গেলেন এডু।