খারাপ আলোর জন্য ম্যাচ যেখানে থামল, স্কোরবোর্ডে তখন লেখা ৩৫৭/৬। ২৫০ রানে এগিয়ে ইংল্যান্ড। লর্ডসেও কি এজবাস্টনের স্মৃতি ফিরতে চলেছে?
মাত্র ৩৫.২ ওভারে ভারতের প্রথম ইনিংসের শোচনীয় পতনের পর হারের পুরনো আতঙ্কের ছবিই বিরাট-সর্বস্ব ভারতীয় শিবিরে আবারও ফিরে আসছে। যদিও এখনও আস্থা হারাচ্ছেন না রোহিত শর্মা। শনিবার টুইটারে ভারতীয় তারকার বার্তা, ‘মনে রাখা দরকার এরাই সেই ক্রিকেটার যারা টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ভারতকে এক নম্বরে নিয়ে গিয়েছিল। খারাপ সময়ে এদের পাশে কি আমরা দাঁড়াতে পারি না? এটা কিন্তু আমাদের সকলের দল’।
তবে বিশ্বক্রিকেটে ‘রো-হিট’ নামে পরিচিত ভারতীয় তারকার বার্তায় কেউ খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে না। দিনের শুরুতে মহম্মদ শামি এবং ইশান্ত শর্মার আক্রমণে বিপর্যন্ত ইংল্যান্ড শিবির। ৩১.১ ওভারে ১৩১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট খুইয়ে রীতিমতো ব্যাকফুটে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেই চাপটাই তো দিনের শেষে ধরে রাখতে পারল না ভারতীয় বোলিং ব্রিগেড।
ক্রিস ওকস এবং জনি বেয়ারস্টো—তৃতীয় দিনের শেষে এই জুটিই নতুনভাবে ভারতীয় শিবিরে আতঙ্কের আবহ তৈরি করে দিয়ে গেল। জুটিতে উঠল ১৮৯ রান। বেয়ারস্টো ফিরলেন ৯৩ রানে। কিন্তু বল হাতে ভারতীয় শিবিরে কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়া ক্রিস ওকস ব্যাট হাতেও হয়ে গেলেন বড় কাঁটা। ১৫৯ বলে অপরাজিত ১২০। সঙ্গী স্যাম কারান অপরাজিত ২২ রানে (২৪ বলে)। প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ইশান্ত-শামি আক্রমণে কোণঠাসা ইংল্যান্ডের ওপর তৈরি হওয়া অস্বস্তি কেটে গেল কোহলির ভুল ফিল্ডিং সাজানোর সিদ্ধান্তেই। তিনি বলছেন, ‘‘ওই সময়ে ডিপে ফিল্ডার না রেখে বিরাটের উচিত ছিল ক্লোজ-ইন পোজিশনে ফিল্ডার রেখে ইংল্যান্ডকে চাপে রাখা। সেটা না করেই ভুল হল। বাকি দু’টো দিন বড় পরীক্ষাতেই বসতে হবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের।’’