সচিন মালহোত্র একজন জ্যোতিষ যিনি বিভিন্ন সেলেবদের ভাগ্য গণনা করেন এবং তা প্রকাশ করেন নিজস্ব ব্লগে। বিশ্বকাপ ফুটবলের এই মহারণ নিয়েও চুপ থাকেননি সচিন। নিজের ব্লগে বিভিন্ন স্টার ফুটবলারদের নিয়ে লিখেছেন। ভাগ্য বিচার করেছেন।
মেসি সম্পর্কে তিনিই লিখেছিলেন, খুব বেশি হলে সেমিফাইনালে যেতে পারে আর্জেন্তিনা। মেসি যে বিশেষ কিছু পারদর্শিতা দেখাতে পারবেন না সেটাও আগাম জানিয়েছিলেন সচিন। এমনকী মেসি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে পারেন বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সচিন।
একই ভাবে তিনি জানিয়েছেন ব্রাজিল দলের বড় ভরসা নেমার সম্পর্কেও। এই বিশ্বকাপে সাপোর্টারদের হতাশ করেছেন মেসি কিংবা রোনাল্ডো। নেমারের ক্ষেত্রে অবশ্য সেটা একেবারেই বলা যাবে না। এখনও পর্যন্ত ব্রাজিল খেলেছে ৪টি ম্যাচ।
প্রথম ম্যাচ ছিল সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ড্র হয় সেই খেলা। উল্লেখ্য, সেই ম্যাচে নেমারকে ১০ বার ফাউল করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্তা রিকার বিরুদ্ধে খেলা শেষ হওয়ার আগেই নেমার গোল করেন। শেষ ষোলোর ম্যাচে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে নেমার গোল করেন এবং গোল করান ফিরমিনোকে দিয়ে।
বলা যেতেই পারে ব্রাজিলের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে জার্সি নম্বর ১০-এর। কিন্তু এই বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছে এক নতুন নেমারকে। দেখা গিয়েছে, চারটি ম্যাচে নেমার মাঠে পড়েছিলেন ১৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ড।
ইতিমধ্যেই তাঁর মাঠে পড়ে যাওয়া বা গড়াগড়ি খাওয়া নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। নানা রঙ্গ রসিকতাও চলছে। কিন্তু, জ্যোতিষ বিচার বলছে— শুধু শুধুই তিনি এমনটা করছেন না। এই বিশ্বকাপে গুরুতর জখম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নেমারের। এমনকী কোনও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমনও হতে পারে যে, তিনি মাঠে থাকতেই পারলেন না।
১৯৯২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলের সাও পাওলেতে মোগি দাস ক্রুজেসে রাত্রি ২ টো ১৫ মিনিটে জন্ম হয় নেমারের। সচিন মালহোত্রর বৈদিক জ্যোতিষ মতে বৃশ্চিক রাশির জাতক ব্রাজিলের স্ট্রাইকার নেমার। তার কুণ্ডলীতে রয়েছে ‘গজকেশর’ যোগ। এমন যোগ খুব কমই দেখা যায়, যা জাতকের জীবনে বড় সাফল্য এনে দেয় খুব কম বয়সে। সত্যিই ১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নেমার ২৫ বছর বয়সের মধ্যেই ৮৫টা আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫৫ গোলের মালিক।
সচিন মালহোত্র তাঁর ব্লগে দাবি করেছেন— এখন নেমারের কর্মক্ষেত্রে একই সঙ্গে বৃহস্পতি, শুক্র ও মঙ্গল গ্রহের প্রভাব কাজ করছে। এই দশা শুরু হয়ে গত ১৯ মে এবং চলবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। কুণ্ডলীর দ্বিতীয় ঘরে রয়েছে মঙ্গল ও শুক্রের সঙ্গে বৃহস্পতি। বৈদিক জ্যোতিষ মতে এটি ‘রাজযোগ’।
সুতরাং, এই বিশ্বকাপ থেকেই রাজকীয় সম্মান আদায় করে নিতে পারেন নেমার। আর সেই সঙ্গে দলের প্রয়োজনীয় সময়ে গোল করে দলকে ফাইনাল পর্যন্তও পৌঁছে দিতে পারেন নেমার। কিন্তু তার মধ্যেই রয়েছে চোটের ভয়। যার জন্য চরম মূল্য দিতে হতে পারে ব্রাজিলকেও।