আলসেদিস ঘিঘিয়া! নাম বললেই ঘিরে ধরে নস্ট্যালজিয়া। নয় নয় করে ৬৮ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবু সেই স্মৃতিতে ধুলো পড়েনি একফোঁটা। ফুটবলের কত প্রজন্ম পেরিয়ে গিয়েছে, ইতিহাসে অমরত্ব পেয়ে গিয়েছেন ঘিঘিয়া। স্রেফ একটি মাত্র গোল করে ব্রাজিলিয়ানদের ফুটবল-স্বর্গ মারাকানাকে শ্রাদ্ধবাসরে পর্যবসিত করেন।
ঘিঘিয়ার ছেলেকে নিয়ে ‘মার্কা’র প্রতিবেদন। — মার্কা ওয়েবসাইট স্ক্রিনশট
এহেন বিশ্বকাপের মঞ্চেই এবেলা.ইন-এর পক্ষ থেকে ঘিঘিয়াকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার উদ্দেশে যোগাযোগ করা হয়েছিল জুনিয়র ঘিঘিয়া— আর্কাদিওর সঙ্গে। বিখ্যাত পিতার পুত্র অচেনা দেশের অচেনা সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজেকে উজাড় করে দিতে কার্পণ্য করেননি। প্রকাশ না পাওয়া অসংখ্য কাহিনি তুলে ধরেছিলেন এবেলা.ইন-এর সামনে।
এবেলা.ইন-কে সম্মান জানাতে কার্পণ্য করেনি মার্কা (স্প্যানিশে প্রতিবেদন)। — মার্কা ওয়েবসাইট স্ক্রিনশট
সেখানে তিনি অতীতের স্মৃতি হাতড়ে জানিয়েছিলেন, বাবার গভীর ট্র্যাজেডির কথা। মারাকানায় দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার পরেই ইতালির এসি মিলানে খেলার প্রস্তাব পান। এরপরে ইতালি ফুটবলেরই নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। তবে পঞ্চাশের দশক ছিল বিশ্বায়ন থেকে বহু যোজন দূরে। ইতালিতে খেলার সূত্রেই ক্রমশ ঘিঘিয়া হয়ে পড়েন দেশের ফুটবলে ব্রাত্য। নায়ক হয়ে যান উপেক্ষিত। ব্রাত্য নায়ককেই পরে দেখা যায় ইতালির জাতীয় দলের জার্সিতে।
এবেলা.ইন-কে সম্মান জানাতে কার্পণ্য করেনি মার্কা (ইংরেজিতে প্রতিবেদন)। — মার্কা ওয়েবসাইট স্ক্রিনশট
সাত দশক পরে ছেলে আকার্দিও-ও বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চলেছেন। কোচ হিসেবে ইউরোপে আসতে চান তিনি। সে কথা আগেই জানান আকার্দিও এবেলা.ইন-কে। ভারতীয় পাঠকের কাছে দুর্দান্ত সাড়া পায় আর্কাদিও ঘিঘিয়া-র সাক্ষাৎকার। ক্রীড়া সাংবাদিকতার ‘বাইবেল’ বলা হয় যাকে, সেই ‘মার্কা’-র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় এবেলা.ইন-এর সঙ্গে।
তারই ফল হিসেবে ‘মার্কা’-য় প্রকাশিত হয় আর্কাদিও ঘিঘিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মতামত। স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবেলা.ইন-কেও।