গোটা দেশ প্রাক সেলিব্রেশনের মেজাজে। দেশের ইতিহাসে সবথেকে সফল ফুটবলার, প্রেসিডেন্ট কার্যত একসঙ্গে রয়েছেন ফুটবলারদের। রবিবার রাতে কাপ জিতলেই উদ্দাম সেলিব্রেশন। ক্রোয়েশিয়ার অন্দরমহলের মেজাজ আপাতত এমনই। এর মধ্যেই ক্রোয়েশিয়ান তারকা ইভান র্যাকিটিচ বলে দিলেন, ফ্রান্সকে হারালে কপালে এঁকে ফেলবেন বিশ্বকাপের ট্যাটু।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলের মুখ রিয়াল-বার্সায় খেলা দুই তারকা র্যাকিটিচ এবং লুকা মদ্রিচ। গোটা টুর্নামেন্টে ক্রোটদের ভাল খেলার রিংটোন বেঁধে দিয়েছেন দুই তারকা। তারকা ফুটবলারদের সামনে রেখেই নিজেদের উজার করে দিচ্ছেন পেরিসিচ, সুবাসিচ, মান্দুকিচরা। বলা হচ্ছে, চলতি মরশুমে ক্লাব ও দেশের জার্সিতে মোট ৭১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তা সত্ত্বেও ক্লান্তি গ্রাস করেনি র্যাকিটিচকে।
ক্লাব ফুটবলে মেসির সতীর্থ। বার্সেলোনায় তাঁর পাস থেকেই কত গোল করেছেন মেসি। তিনি এবার বিশ্বকাপ জেতার জন্য পাস বাড়াবেন মান্দুকিচ, পেরিসিচদের। তাঁর আগে সাংবাদিকরা মেসির সতীর্থকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কাপ জিতলে হাতে ট্যাটু করানোর মতো কোনও জায়গা খালি রয়েছে কিনা! তিনি বলে দেন, ‘‘কপালে অনেক জায়গা রয়েছে। ঈশ্বর চাইলে, ট্যাটুর জন্য কপাল উৎসর্গ করতে পারি।’’
ক্রোয়েশিয়ার অনুশীলনে র্যাকিটিচ, মদ্রিচ এবং মান্দুকিচ। — এএফপি
তবে তিনি নিজে ঠিক করে ফেললেও স্ত্রী-র কাছ থেকে সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন। নিজেই জানিয়ে দিলেন, ‘‘এমন আইডিয়ার জন্য অবশ্য স্ত্রী-র কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।’’ নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও কষে ফেলেছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘দেশের জন্য কাপ জিততে যদি অবসরের মূল্য চোকাতে হয়, তাতেও আমি রাজি।’’
তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘গোটা বিশ্বের বহু দেশ আমাদের সমর্থন করছে। কারণ, ফুটবল দিয়েই প্রত্যেকের হৃদয় জয় করেছি আমরা।’’ মেসি পারেননি। মেসির বার্সেলোনা সতীর্থ কি পারবেন কাপ জিততে, অপেক্ষা আপাতত তারই।