গোকুলাম-ম্যাচের পরে মোহনবাগানের তারকা সনি নর্দের স্ত্রী কিম্বার্লি ডি’ নর্দে ফেসবুকে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। স্বামীর পক্ষ নিয়ে কিম্বার্লি বলেছেন, একজন ফুটবলারকে ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার, ফরোয়ার্ড, গোলকিপার হিসেবে খেলতে হবে। ফুটবল যদি এমনটাই হতো, তা হলে মেসি ইতিমধ্যেই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে দিত।
ডার্বি ম্যাচে মোহনবাগানের হার দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি সবুজ-মেরুন-এর প্রাক্তন ব্রাজিলীয় ফুটবলার হাডসন লিমা।
নাম না করে বর্তমান সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের দায়বদ্ধতা নিয়েই ইনস্টাগ্রামে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন লিমা। ব্যারেটোর হাত ধরেই মোহনবাগানে খেলতে এসেছিলেন লিমা। সেই তিনি রবিবাসরীয় ডার্বি দেখার পরে হতাশা গোপন রাখেননি।
ইনস্টাগ্রামে হোসে রামিরেজ ব্যারেটোর প্রসঙ্গ টেনে ব্রাজিলীয় লিমা বলেছেন, এই মোহনবাগান দলে ব্যারেটোর মতো একটা নামের দরকার।
একার পায়ে ‘সবুজ তোতা’ কত বড় ম্যাচ উতরে দিয়েছেন মোহনবাগানকে তার ইয়ত্তা নেই। বাঙালির চিরআবেগের ম্যাচে উঠে নেমে খেলে তিনি একাই হয়ে উঠতেন মহীরূহ। তাঁকে সামনে রেখেই মোহনবাগান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে মাটি ধরাত। লিমার মতে, ব্যারেটোর মতো দায়িত্ব নিয়ে খেলতে দেখা যাচ্ছে না কাউকে। বর্তমান কোনও ফুটবলারের নাম না করে লিমা লিখেছেন, ‘‘ঢক্কা নিনাদ বাজিয়ে অনেকেই খেলতে এসেছে। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের কাছে ২-০ গোলে হারের পরে আমার উপলব্ধি এই দলে গ্রেট প্লেয়ারের অভাব।
অথচ এই মোহনবাগানে তো তারকা ফুটবলারের অভাব নেই। সনি নর্দেকে দেড় কোটির টাকার সামান্য বেশি দিয়ে আনা হয়েছে। গোল করার মুন্সিয়ানা দেখে গোকুলাম থেকে বাগানে আনা হয়েছে হেনরি কিসেক্কাকে। দিপান্দা ডিকা নিজের ছায়া। ওমর এল হুসেইনিও ছাপ ফেলতে পারেননি। সব মিলিয়ে মোহনবাগান ক্রমশ পিছোচ্ছে আইলিগে। ’’
যাঁকে নিয়ে লিমা গলা ফাটালেন ইনস্টাগ্রামে, সেই শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, ব্যারেটোই ভরসা অবশ্য মোহনবাগানের বর্তমান ফর্ম নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না। মোহনবাগান-বিশ্ব হতাশা গোপন রাখছে না। সনি নর্দেরাও বুঝতে পারছেন সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ তাঁরা করতে পারছেন না। কিন্তু অন্ধকার থেকে আলোর সরণিতে ফেরার রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ব্যারেটো প্রাক্তন হয়ে গিয়েছেন এই বাগানে। তাঁর দীঘল ছায়া এখনও বাগানে ছেয়ে রয়েছে। সেই ছায়ায় ঢাকা পড়ে গিয়েছেন বর্তমান ফুটবলাররা। এই দুঃসময়ে ফের ব্যারেটোর নামই উঠে আসছে বাগানে। সনি নর্দেরা কি শুনতে পাচ্ছেন?