অনেক স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন ডানা মেলে উড়তে শুরু করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড থেকেই। যুব বিশ্বকাপের পর থেকেই দেশের প্রতিটি ক্রিকেট পিপাসু জনতার হৃদয়ের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন চন্দননগরের ঈশান পোড়েল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখলেন বঙ্গ ক্রিকেটের সবেধন প্রতিনিধি। ফুল-মালায় ঈশানকে বরণ করে নেওয়া হল বিমানবন্দর চত্ত্বরেই। বাবা চন্দ্রনাথ পোড়েল এবং মা রীতা পোড়েলের সঙ্গে বিমানবন্দরে ঈশানকে রিসিভ করতে হাজির ছিলেন পাড়ার জনা পঞ্চাশেক ছেলে। এছাড়াও হাজির ছিলেন চন্দনগরের বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
দেখুন বিমানবন্দরের ভিডিও...
ঈশানের দুই ক্রিকেট গুরু বিভাস দাস এবং অভীক মণ্ডলকেও ছাত্রকে স্বাগত জানাতে সাতসকালে বিমানবন্দরে হাজির হয়ে যেতে দেখা গেল। বিমানবন্দরের ভিতর থেকে ঈশান বেরিয়ে আসতেই শুরু হয়ে যায় উৎসব। জাতীয় পতাকা জড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর গায়ে।
প্রথম কয়েকটা ম্যাচে খেলতে পারেননি। তবে তারপর চোট সারিয়ে ফিরে এসে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন তরুণ বঙ্গ পেসার। সাংবাদিকদের সামনে বিশ্বকাপের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বছর উনিশের পেসার বলেই দিলেন, ‘‘চোটের জন্য দলের সঙ্গে প্রথমদিকে নামতে না পারায় আক্ষেপ ছিলই। তাই পরে সুযোগ পেয়েই নিজেকে উজার করে দিতে চেয়েছি।’’
বিমানবন্দরে ঈশান। — সংগৃহীত
সাংবাদিকদের সামনে কী বলছেন ঈশান, শুনে নিন...
পাকিস্তানকে কার্যত একাই ধ্বংস করে দিয়েছেন ঈশান। ১৭ রানের বিনিময়ে চার-চারটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। ঈশানের ধাক্কা সামলাতে না পেরেই মাত্র ৬৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল পাক ক্রিকেটাররা। পাকিস্তান-ম্যাচের কথা উঠতেই তাই তারকা পেসারের গলায় সাময়িক-আক্ষেপ উধাও। বলে দিচ্ছেন, ‘‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করতে পেরে ভাল লাগছে। বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা আগামী দিনে কাজে লাগাতে চেষ্টা করব।’’
কোচ দ্রাবিড়কে ধন্যবাদ জানালেন চন্দননগরের তারকা পেসার...
এর মাঝেই ক্ষণিক বিষণ্ণতা ছুঁয়ে যায় আইপিএল-এ বিশ্বকাপজয়ী বঙ্গ পেসার উপেক্ষিত থাকায়। ঈশানই অবশ্য বলে দিলেন, ‘‘আইপিএল-এ দল না পাওয়ায় কোনও আক্ষেপ নেই। পরের বার আইপিএল-এ খেলার চেষ্টা করব।’’ বিমানবন্দর থেকে চন্দননগরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে ঈশান বলে যান, ‘‘রাহুল স্যারকে ধন্যবাদ। উনি অনেক সাহায্য করেছেন।’’