নাইটদের এমন পারফরম্যান্সের পরে নিশ্চয় খুশি টিম-মালিক শাহরুখ খান! খুশি তো হওয়ারই কথা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে লজ্জার হার উপহার দেওয়ার পরের ম্যাচেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল কলকাতা নাইটরাইডার্স। পুরোদস্তুর খুশি কি হতে পারলেন শাহরুখ?
কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে ৩১ রানে হারাল কেকেআর। সেই সঙ্গে প্লে অফে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল দীনেশ কার্তিকের দল। লিগ তালিকায় এখন চার নম্বরে কলকাতা।
এই ম্যাচের বল গড়ানোর আগে থেকেই প্রীতি জিন্টা ও বীরেন্দ্র সহবাগের মধ্যে ব্যক্তিত্বের সংঘাত লেগে গিয়েছিল। কেকেআর-ম্যাচের পরে দু’জনের তিক্ততা কি আরও বাড়বে?
বীরুকে নিশ্চয়ই আরও কঠিন প্রশ্নের সামনে পড়তে হবে। সে তো গেল বীরু ও প্রীতির কথা। শনিবার কেকেআর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। চিন্তাও তো থেকে গেল। ২৪৫ রানের বোঝা চাপিয়েও পঞ্জাব প্রায় ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলল। এটাও তো চিন্তারই কথা।
চলতি আইপিএল-এ এদিন সর্বোচ্চ রানের নজির গড়ল নাইটরা। তারপরেও কিন্তু চিন্তায় ছিলেন শাহরুখের ছেলেরা। উল্টোদিকে যে রয়েছেন ক্রিস গেইলের মতো বিস্ফোরক ব্যাট। ‘ক্যারিবিয়ান দৈত্য’ চলতে শুরু করলে কোনও বাধাই যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। এদিন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই গেইলকে ফিরিয়ে দিলেন তাঁরই দেশের আন্দ্রে রাসেল। গেইল খেললেন ১৭ বলে ২১ রানের ইনিংস। লোকেশ রাহুল লড়লেন একা। ২৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। শেষের দিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন করেন ২২ বলে ৪৫ রান। তবুও কলকাতাকে টপকাতে পারল না তাঁরা। রানটা বেশি ছিল বলেই এদিন শেষ হাসি তোলা ছিল কেকেআর-এর জন্য। রান একটু কম হলে কী হত কে জানে!
প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা নাইটরাইডার্স তোলে ২৪৫ রানের বিশাল স্কোর। ইনিংসের শুরু থেকেই চালিয়ে ব্যাট করেন ক্রিস লিন, সুনীল নারিন, দীনেশ কার্তিক। নারিন ৩৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক কার্তিক ২৩ বলে ৫০ রান করেন। পাহাড়প্রমাণ রানের বোঝা চাপিয়েও পঞ্জাব ২০ ওভারের শেষে করল ২১৪ রান। হারাল ৮ উইকেট। এটাও কিন্তু চিন্তার কারণ হয়ে রইল কার্তিকের কাছে। আনন্দের দিনে বোলিং কি চিন্তায় ফেলল না কেকেআর-কে?