<p>টিমবাস থেকে পাঁচ ফিট সাড়ে ন’ইঞ্চির ছিপছিপে চেহারাটা নামতেই ইডেনের মূল ফটকের সামনে ভিড় করা জনতা জয়ধ্বনি দিয়ে উঠল। স্মিত হাসলেন তিনি। কিট্‌স ব্যাগ টানতে টানতে ঢুকে পড়লেন ইডেনে অ্যাওয়ে টিমের জন্য নির্ধারিত ড্রেসিংরুমে।</p>
<p style="text-align: justify;">টানা চার বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের মিডল অর্ডারের অন্যতম সেরা ভরসা ছিলেন। নাইট শিবির থেকেই তাঁর নামকরণ করা হয়েছিল ‘স্কাই’। মঙ্গলবার ইডেনে পা রাখার সময় তাঁর, সূর্যকুমার যাদবের কি একবারও অস্বস্তি হচ্ছিল না? কেকেআর ম্যাচ মানে তাঁর কাছে তো নিজের পুরনো ডেরায় বহুদিনের চেনা সতীর্থদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধে নেমে পড়া!</p>
<p style="text-align: justify;">পরিচিত মুখ দেখে এড়িয়ে যেতে পারলেন না। কারও সঙ্গে করমর্দন, কাউকে আলিঙ্গন। তারপরই যেন পেশাদার সত্তা সমস্ত আবেগকে গ্রাস করল। আর সূর্যকুমার নেমে পড়লেন নেটে। আকাশ কালো করে মিনিট দশেকের ঝড় উঠল। নেটে ব্যাটিং করে চললেন সূর্য। সুনীল নারাইনকে দেখে কুশল বিনিময় করতে ছুটলেন কায়রন পোলার্ড। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে চলল দুই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের আড্ডা। নির্লিপ্ত সূর্য তখন একের পর এক বল ওড়াচ্ছেন।</p>
<p style="text-align: justify;">হয়তো বিস্ময় জাগতে পারে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে রোহিত শর্মার মতো তারকা আছেন। ইডেন গার্ডেন্স যাঁর প্রিয়তম মাঠ এবং এই মাঠে তিনি ব্যাট হাতে নামা মানেই কিছু অসাধ্য সাধন করে বসবেন। এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা দুই আকর্ষণ হার্দিক পাণ্ড্য (হার্দিক অবশ্য প্র্যাক্টিসে আসেননি) এবং যশপ্রীত বুমরা আছেন। দলের কোচিং স্টাফদের তালিকা তো আরও বড় নক্ষত্রের হাট। প্রধান কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে। বোলিং কোচ শেন বন্ড। বোলারদের মেন্টর লাসিথ মালিঙ্গা। ব্যাটিং কোচ রবিন সিংহ। এবং সর্বোপরি, দলের আইকন সচিন তেন্ডুলকর। যে দলে এত বড় নামের ছড়াছড়ি, সেখানে সূর্যকুমারের মতো জাতীয় দলেও কোনওদিন না খেলা এক ক্রিকেটারকে নিয়ে আগ্রহ থাকতে যাবে কেন?</p>
<p style="text-align: justify;">আগ্রহ আছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের, কেকেআরের, সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের— সকলের। কারণ, চলতি আইপিএল ক্রিকেটার সূর্যকুমারের পুনর্জন্মের টুর্নামেন্ট মনে করা হচ্ছে। ১০ ম্যাচে ৩৯৯ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে তৃতীয় স্থানে আছেন মুম্বইয়ের ক্রিকেটার। ওয়াংখেড়েতে কেকেআরের বিরুদ্ধে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছিলেন। প্লে-অফের দৌড়ে থাকতে গেলে সব ম্যাচ জিততেই হবে— এরকম পরিস্থিতিতে দলের সেরা ভরসা প্রাক্তন কেকেআর তারকাই।</p>
<p style="text-align: justify;">টিমবাস থেকে পাঁচ ফিট সাড়ে ন’ইঞ্চির ছিপছিপে চেহারাটা নামতেই ইডেনের মূল ফটকের সামনে ভিড় করা জনতা জয়ধ্বনি দিয়ে উঠল। স্মিত হাসলেন তিনি। কিট্‌স ব্যাগ টানতে টানতে ঢুকে পড়লেন ইডেনে অ্যাওয়ে টিমের জন্য নির্ধারিত ড্রেসিংরুমে।</p>
<p style="text-align: justify;">টানা চার বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের মিডল অর্ডারের অন্যতম সেরা ভরসা ছিলেন। নাইট শিবির থেকেই তাঁর নামকরণ করা হয়েছিল ‘স্কাই’। মঙ্গলবার ইডেনে পা রাখার সময় তাঁর, সূর্যকুমার যাদবের কি একবারও অস্বস্তি হচ্ছিল না? কেকেআর ম্যাচ মানে তাঁর কাছে তো নিজের পুরনো ডেরায় বহুদিনের চেনা সতীর্থদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধে নেমে পড়া!<br />
পরিচিত মুখ দেখে এড়িয়ে যেতে পারলেন না। কারও সঙ্গে করমর্দন, কাউকে আলিঙ্গন। তারপরই যেন পেশাদার সত্তা সমস্ত আবেগকে গ্রাস করল। আর সূর্যকুমার নেমে পড়লেন নেটে। আকাশ কালো করে মিনিট দশেকের ঝড় উঠল। নেটে ব্যাটিং করে চললেন সূর্য। সুনীল নারাইনকে দেখে কুশল বিনিময় করতে ছুটলেন কায়রন পোলার্ড। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে চলল দুই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের আড্ডা। নির্লিপ্ত সূর্য তখন একের পর এক বল ওড়াচ্ছেন।</p>
<p style="text-align: justify;">হয়তো বিস্ময় জাগতে পারে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে রোহিত শর্মার মতো তারকা আছেন। ইডেন গার্ডেন্স যাঁর প্রিয়তম মাঠ এবং এই মাঠে তিনি ব্যাট হাতে নামা মানেই কিছু অসাধ্য সাধন করে বসবেন। এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা দুই আকর্ষণ হার্দিক পাণ্ড্য (হার্দিক অবশ্য প্র্যাক্টিসে আসেননি) এবং যশপ্রীত বুমরা আছেন। দলের কোচিং স্টাফদের তালিকা তো আরও বড় নক্ষত্রের হাট। প্রধান কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে। বোলিং কোচ শেন বন্ড। বোলারদের মেন্টর লাসিথ মালিঙ্গা। ব্যাটিং কোচ রবিন সিংহ। এবং সর্বোপরি, দলের আইকন সচিন তেন্ডুলকর। যে দলে এত বড় নামের ছড়াছড়ি, সেখানে সূর্যকুমারের মতো জাতীয় দলেও কোনওদিন না খেলা এক ক্রিকেটারকে নিয়ে আগ্রহ থাকতে যাবে কেন?</p>
<p style="text-align: justify;">আগ্রহ আছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের, কেকেআরের, সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের— সকলের। কারণ, চলতি আইপিএল ক্রিকেটার সূর্যকুমারের পুনর্জন্মের টুর্নামেন্ট মনে করা হচ্ছে। ১০ ম্যাচে ৩৯৯ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে তৃতীয় স্থানে আছেন মুম্বইয়ের ক্রিকেটার। ওয়াংখেড়েতে কেকেআরের বিরুদ্ধে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছিলেন। প্লে-অফের দৌড়ে থাকতে গেলে সব ম্যাচ জিততেই হবে— এরকম পরিস্থিতিতে দলের সেরা ভরসা প্রাক্তন কেকেআর তারকাই।</p>