রিয়েল কাশ্মীর ভুবনেশ্বরে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের কাছে আটকে গিয়েছিল কয়েকঘণ্টা আগেই। পয়েন্ট তালিকায় সেই এগোনোর সুবিধা নষ্ট হয়ে গেল কয়েকঘণ্টা পরেই। প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে বিধ্বস্ত করে চেন্নাই জিতে যাওয়ায়। দুপুরে ভাল হয়ে যাওয়া মন বদলে গেল সন্ধ্যা গড়াতেই। সবমিলিয়ে আইলিগের খেতাবি লড়াই চরম ক্লাইম্যাক্সের দিকে এগোচ্ছে।
আইজল ম্যাচের একাদশ থেকে জোড়া পরিবর্তন ঘটিয়ে কোয়েম্বাত্তুরে দল সাজিয়েছিলেন খালিদ জামিল। তবে আইলিগের ‘ফাস্ট বয়’-এর রথের চাকায় পিষ্ট হয়ে এদিন গুড়িয়ে গেল বাগান। ৩-১ গোলে জেতা চেন্নাইয়ের হয়ে তিনটি গোলই স্প্যানিশ ব্রিগেডের— নেস্টর, স্যান্ড্রো এবং পেদ্রো মাঞ্জি। ৮, ১৫, ২৩— ম্যাচের আড় ভাঙার আগেই গোলের হ্যাট্রিক হয়ে গিয়েছিল। ক’ গোলে বাগান আত্মসমর্পণ করবে, তাই নিয়েই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
সেখানেই অবশ্য ফুলস্টপ। বিরতির আগে মোহনবাগানের হয়ে ব্যবধান কমিয়েছিলেন লালনুনফেলা। প্রথমার্ধে ৪ গোল দেখার পর দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ফলাফল একই থাকল, মোহনবাগান দশ জনে হয়ে যাওয়ায় চেন্নাইয়ের বিপক্ষে খেলা ধরে নেওয়ায়। ভোল বদলানো মোহনবাগানের সামনে বিরতির পরে অনেকটাই বর্ণহীন দুরন্ত গতিতে ছুটতে থাকা চেন্নাই।
গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধ দেখল জোড়া লাল কার্ড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লাল কার্ড দেখতে হয়েছিল থঙ্গলাকাথকে। দ্বিতীয়ার্ধে দশ জনে খেলা চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে অবশ্য গোলও করতে পারেনি মোহনবাগান। উলটে শিল্টন পাল লাল কার্ড দেখেন শেষলগ্নে।
১৮ ম্যাচ খেলার পরে চেন্নাই ৪০ পয়েন্টে পৌঁছে গেল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাশ্মীর ১৭ ম্যাচ খেলার পরে ৩৩ নম্বরে। ইস্টবেঙ্গল ১৬ ম্য়াচে ৩২ পয়েন্ট।