এই মাসেরই ৫ তারিখ মালদহে গিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলে এসেছিলেন, কংগ্রেসের প্রথম সারির বড় বড় হস্তিরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন খুব তাড়াতাড়ি।
তার পরেই জল্পনা শুরু হয় মালদহের দুই সাংসদকে নিয়ে। দু’জনেই এখন কংগ্রেসের। আবু হাসেম খান চৌধুরী ও মৌসম বেনজির নূর। তা হলে কি এঁরা সত্যিই তৃণমূলে যোগ দেবেন?
সপ্তাহখানেক পরে দুই সাংসদকে একসঙ্গে পেয়ে সাংবাদিকরা যেই প্রশ্ন করেন তৃণমূলে যোগদান করা নিয়ে, প্রচণ্ড রেগে যান আবু হাসেম খান চৌধুরী।
আপনার সঙ্গে কি তৃণমূলের কথা হয়েছে? এই প্রশ্ন করতেই আবু হাসেম বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও কথা হয়নি।’’
তাহলে শুভেন্দু অধিকারী যে বললেন, কংগ্রেসের বড় হস্তিরা যোগ দেবেন তৃণমূলে? তখন আবু হাসেম বলেন, ‘‘আমি কী করে বলব? তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন। আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন কেন?’’
বার বার এই প্রশ্ন করা হলে রেগে যান গনি খানের ভাই। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দল ছাড়ছি না। বাজে কথা বলা হচ্ছে। গনি খান চৌধুরী এই দলের জন্য সব কিছু করেছে। আমরা সেই ঐতিহ্য বহন করছি। কে কী বলে দিল বা আপনারাই রটাচ্ছেন কিনা, জানি না। আপনারা আমাকে প্রশ্ন করছেন, এতে মালদহের মানুষ লজ্জিত হচ্ছেন। এই বাড়ি সম্বন্ধে আপনাদের এই প্রশ্ন করা উচিত নয়।’’
পরে রেগে গিয়ে সাংবাদিকদের দিকে তেড়েও যান তিনি। জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘কে আপনি?’’
মৌসম বেনজির নূর অবশ্য মামার মতো রেগে যাননি। তবে জানিয়ে দেন, তাঁরও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।