গাড়ির ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যু ঘিরে মঙ্গলবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় খিদিরপুর। পথ অবরোধ করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। এক পুলিশ কর্তার গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হরিসভা স্ট্রিটে পড়ে যান এক বাইক আরোহী। সেই সময় বালিবোঝাই একটি লরি তাঁকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক আরোহী ওই যুবকের। ঘটনার প্রতিবাদে দেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ দেহ সরিয়ে নিয়ে গেলেও বিক্ষোভ চলতে থাকে। ডিসি পোর্ট সুদীপ সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উত্তেজিত জনতা ডিসি’র গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলেও সূত্রের খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রস্তুত রাখা হয় র্যাফকে। যদিও শেষ পর্যন্ত র্যাফ নামাতে হয়নি। রাত ১২টা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক লরির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই লরিটিকেও।
অন্যদিকে, এই ঘটনার জেরে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় খিদিরপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এর ফলে ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউ, হসপিটাল রোড, রেড রোডে যান চলাচল ব্যাহত হয়। খিদিরপুরমুখী গাড়িগুলিকে আলিপুরের জাজেস কোর্ট রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এদিন একটি ধর্মীয় উত্সব উপলক্ষে মেলার জন্য আগে থেকেই কিছু যান নিয়ন্ত্রণ করেছিল ট্র্যাফিক পুলিশ। এর সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থলে বিক্ষোভের জেরে তীব্র যানজটের মুখে পড়তে হয় বহু মানুষকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার রাতে খিদিরপুরের বাবুবাজারে বেপরোয়া ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় দু’জনের। আহত হন তিনজন। কিন্তু তারপরও বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম্য রুখতে পুলিশ তত্পর হয়নি। যদিও পুলিশের দাবি, রবিবারের ঘটনার পরই ওই এলাকার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ব্লিঙ্কিং সিগন্যালের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে বসানো হয়েছে স্পিড ব্রেকার।
অন্যদিকে, এদিন রাতে, বিড়লা তারামণ্ডলের কাছে একটি গাড়ি এবং ট্রাকের সংঘর্ষে আহত হন তিনজন।