পঞ্চায়েত ভোটের আগে যাঁর কার্যকলাপে অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল, সেই আরাবুল ইসলামের হাতেই ভাঙড়-২ ব্লকের কর্তৃত্ব অর্পণ করতে পারে শাসকদল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পঞ্চায়েতে বোর্ডগঠন প্রক্রিয়া প্রাক্কালে তৃণমূল সূত্রে এমন ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে।
শাসকদল সূত্রের খবর, ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি করা হতে পারে আরাবুলকে। গতবার তিনি ছিলেন সমিতির সভাপতি। তবে এবার সংরক্ষণের গেরোয় তপসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘সভাপতি কে হবেন তা জেলা নেতৃত্বই ঠিক করবেন। আরাবুলের পছন্দ সেক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে।’’ আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। সমিতির বোর্ড গঠন হতে পারে আগামী ১৫-১৬ অক্টোবর।
পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত দু’বছর ধরে ভাঙড় জমি জীবিকা পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষে বারবার রক্ত ঝড়েছে পোলেরহাট-২ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন অঞ্চলে। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই পঞ্চায়েতের প্রধান পদে রেখে দেওয়া হতে পারে আরাবুল পুত্র হাকিমুলকে। নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতে কমিটির পাঁচ সদস্য জয়ী হয়েছেন। কমিটির সঙ্গে সরকারের বিরোধ মিটে যাওয়ায় মাছিভাঙা, খামারাইটের মতো গ্রামগুলিতে এখন শান্তি ফিরেছে।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হাকিমুলকে পোলেরহাট-২ পঞ্চায়েতের প্রধান করতে কোনও অসুবিধা হবে না। যদিও কোন পদে কে বসবেন তা নিয়ে আরাবুল কোনও মন্তব্য করেননি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে কমিটির মিছিলে গুলিচালনার ঘটনায় এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। যার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরাবুল। এখন তিনি জামিনে মুক্ত। আরাবুল বলেন, ‘‘জামিনের শর্ত অনুযায়ী, কাশীপুর থানা এলাকায় ঢুকতে পারি না। বোর্ড গঠনের সময় ভাঙড়ে ঢোকার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করব।’’