হাতির সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে জঙ্গলমহলের বহু মানুষ গত কয়েক বছরে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছে৷ প্রতি মাসেই এই কাণ্ডে আহতও হচ্ছে বহু মানুষ। বন দফতরের করা সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে জঙ্গলমহলে হাতির দ্বারা আক্রান্তদের বেশির ভাগের নেপথ্যে সেলফি-প্রীতি৷ গ্রেফতারির ভয় থেকে সচেতনতা বাড়িয়েও লাভ হয়নি৷ দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে তাই গোপগড় ইকোপার্কে হাতির মূর্তির সামনে সেলফি জোন তৈরি করল বনদফতর৷ বৃহস্পতিবার তার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ৷
পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন গোপগড় হেরিটেজ অ্যান্ড ইকো ট্যুরিজম সেন্টারকে আরও ঢেলে সাজাতে একগুচ্ছ নতুনত্বের সূচনা করা হল বৃহস্পতিবার। যেমন, প্রজাপতি উদ্যান। সেখানে জলধারার পাশে বেশ কিছু গাছ লাগানো হয়েছে। যেগুলির দ্বারা প্রজাপতি আকর্ষিত হয়৷ এছাড়াও রয়েছে আর্কিডোরিয়াম, রঙিন মাছের মৎস্যাধার, প্রাকৃতিক পথ ও নিজস্বী জোন৷ এই সবই উদ্বোধন করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন৷
ফুল, গাছপালা, পিকনিক স্পট, বাচ্চাদের বিনোদন সামগ্রী, থাকার ব্যবস্থা সহ সুসজ্জিত উদ্যান দিয়ে পার্কটি আগেই সুসজ্জিত ছিল৷ তার সঙ্গে মন্ত্রীর নতুন সংযোজন এগুলোই৷ সব থেকে নতুন পদক্ষেপ হল নিজস্বী জোন তৈরি৷ যেখানে একটি বড় হাতির মূর্তি রেখে সেলফি তোলার স্থান করে দেওয়া হয়েছে৷ সেই জায়গাটিই চিহ্নিত সেলফি জোন হিসেবে ৷
উদ্বোধন পর্ব সেরে বনমন্ত্রী জানান, ‘‘আমরা এই সেলফি জোন করে সকলকে জানিয়ে দিলাম জঙ্গলে জ্যান্ত হাতির সামনে প্রাণঘাতী সেলফি তোলার দরকার নেই৷ তা করতে হলে পার্কে এসে তুলুন৷ হাতির সেলফি জোন ব্যবহার করুন৷ সেলফি নেশায় হাতিকে উত্যক্ত করে প্রাণ হারাবেন না৷”
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “এই পার্কগুলি থেকে মোটা টাকা আয় হচ্ছে দফতরের৷ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আয় বেড়েছে বেশ কয়েকগুন৷ পার্কগুলির প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে৷ তাই সেগুলি ভাল ভাবে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷”