বুধবার কলকাতার পরে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃত দলীয় কর্মীদের স্মরণসভায় কার্যত লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এদিন তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন।
সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়া জেলায় ভাল ফল হয়েছে বিজেপির। ভোটের পরে এই জেলাতেই বিজেপির উপরে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ হয়েছে। বাংলা সফরের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে রাজ্যের পশ্চিমপ্রান্তের সেই পুরুলিয়া থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজনৈতিক বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সেনাপতি।
এদিন তিনি বলেন—
• পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই।
• পরিবর্তনের ডাক পৌঁছে দিন মমতার কানে।
• চিটফান্ডের সরকার চাই না।
• বিজেপির উত্থান দেখে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল।
• পুরুলিয়ার আওয়াজ পৌঁছে দিন কলকাতায়।
• তৃণমূল সরকার উপড়ে ফেলতে হবে।
• হিংসা বাংলার সংস্কৃতি নয়, এটা রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের বাংলা।
• আপনার সরকার আর বেশি দিন নয়। সন্ত্রাস চালিয়ে সরকার বাঁচানো যাবে না।
• রাজ্যে ২ কোটি মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। ২০ বিজেপি কার্যকর্তার মৃত্যু হয়েছে, ১৩৪১ জখম।
• ভোট করতে দেয়নি। সন্ত্রাস চলেছে। তবু বিজেপি ৭ হাজার পঞ্চায়েতে জিতেছে। বিজেপি কর্মীদের বেছে বেছে মারা হচ্ছে।
• একে একে ১৯ রাজ্যে জিতেছি আমরা। সর্বত্র বিজেপির পতাকা উড়ছে। এবার বাংলা। ২০১৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘুম উড়িয়ে দেব আমরা।
• ২০১৯ সালের ভোট বিজেপির ভোট। তাতেই বুঝতে পারা যাবে, বিধানসভায় আমরাই ক্ষমতায় আসছি। মমতার সরকার আর টিকবে না।
• বিজেপি আনবে বাংলায় বিকাশের সরকার।
বক্তব্য শেষের আগে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে ধরেন অমিত। আর তাতে ছিল স্পষ্ট চ্যালেঞ্জের সুর।
মমতার উদ্দেশ্যে অমিতের প্রশ্ন—
• পুরুলিয়া জেলায় কেন মায়েদের পাঁচ কিমি দূর থেকে জল আনতে হয়?
• এখানে কেন বোমা বানানো ছাড়া অন্য শিল্প চলে না?
• গরিব পরিবারের জন্য কেন্দ্রের বিমা প্রকল্প কেন রাজ্যে কার্যকর করতে দেওয়া হচ্ছে না?
• ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র রাজ্যের উন্নয়নের জন্য দিয়েছে। সেই টাকা কী হয়েছে?
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জোট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উদ্যোগকে কটাক্ষ করে অমিত এদিন বলেন, ‘‘মমতাদি জোট বানান, কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু আগে বাংলা সামলান। বিজেপি আসছে।’’