অঞ্চলের বিভিন্ন গ্যারাজে পরিত্যক্ত গাড়িতে জল জমে তা মশার আঁতুড় ঘরে পরিণত হচ্ছে। সোমবার বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদের বৈঠকে সে কথা জানালেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়। বোর্ডের কাছে সেই জায়গাগুলি পরিষ্কারের প্রস্তাব দেন প্রণয়। কিন্তু সল্টলেকের এফডি ব্লকে পুরভবনের ঠিক বিপরীতে পুরনিগমের স্ট্যাক ইয়ার্ডই কার্যত মশার আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে।
ডেঙ্গিতে ইতিমধ্যেই এক মহিলা ও দুই বালকের মৃত্যু হয়েছে বিধাননগরে। নাগরিকদের সচেতন করতে প্রতিদিন প্রচার চালাচ্ছে বিধাননগর পুরনিগম। কিন্তু পুরনিগমের স্ট্যাক ইয়ার্ডেই পড়ে রয়েছে আবর্জনা। জমছে জল। জঞ্জাল সংগ্রহের গাড়ি-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র থাকে ওই স্ট্যাক ইয়ার্ডে। এদিন সেখানে দেখা গেল ডাঁই করে পড়ে রয়েছে টায়ার। তার মধ্যে জল জমে রয়েছে। আশপাশে মশাও উড়ছে। রয়েছে ভাঙা বালতি, পরিত্যক্ত গাড়ি।
এদিন বৈঠকে পরিত্যক্ত গাড়িতে জল জমে ডেঙ্গির মশার লার্ভা জন্মানোর সম্ভাবনার কথা জানান প্রণয়। বিধাননগরের বিভিন্ন থানায় পরিত্যক্ত গাড়ি পড়ে থাকে। তার থেকে যেন ডেঙ্গি না ছড়ায় তার জন্য পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু পুরনিগম নিজেই যদি সতর্ক না হয় তবে সাধারণ নাগরিকেরা কী করে সতর্ক হবেন। প্রণয় বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে এসেছে। ব্যবস্থা নিচ্ছি। ওই সব জায়গায় মশার তেল দেওয়া হয়।’’
স্ট্যাক ইয়ার্ড নিয়ে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত জানান, ওখানকার পরিত্যক্ত গাড়ি নিলাম করা হয়ে গিয়েছে। দ্রুত সেগুলি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হবে। ডেঙ্গি নিয়ে মেয়র পারিষদের বৈঠকের পরে এদিন পুর কর্তারা জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে আরও দু’জন করে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হবে। এদিনের বৈঠকে দত্তাবাদে পুকুরগুলি এলাকার নাগরিকেরা আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র সব্যসাচী।