যা দেবে অঙ্গে তা-ই যাবে সঙ্গে! মোক্ষম বুঝেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ব্যয়ে মহিলাদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জিম তৈরি করতে চলেছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভা সূত্রের খবর, যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া বিভাগের তত্ত্বাবধানে জপুর শিশু উদ্যানে ইতিমধ্যে শরীরচর্চা কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয় দাসের তরফে প্রস্তাব এসেছিল। যা লুফে নেন যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া বিভাগের পুরপ্রধান পারিষদ প্রদীপ মজুমদার।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুরপ্রধান পারিষদ নিজে উদ্যোগী হয়ে অত্যাধুনিক শরীরচর্চা কেন্দ্রে কী কী সরঞ্জাম থাকবে, তার তালিকা তৈরি করেছেন। ২২ থেকে ২৩টি সরঞ্জাম রাখার কথা প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছে। এককালীন ৫০০ টাকা দেওয়ার পরে প্রতি মাসে পুরসভার জিমে শরীরচর্চার জন্য দিতে হবে ২০০-৩০০ টাকা। সস্তায় পুষ্টিকর আর কী!
প্রদীপ বলেন, ‘‘পুজোর আগে উদ্বোধনের ইচ্ছা রয়েছে। স্বীকৃত প্রশিক্ষকেরা থাকবেন। একেবারে পেশাদার মনোভাব নিয়ে জিম তৈরি হচ্ছে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, শরীরচর্চা কেন্দ্রে যোগাভ্যাস করানোরও ভাবনা রয়েছে। তবে বিশেষ কারণে তা আপাতত চমকের তালিকায় রাখা হয়েছে!
পুরকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, রাস্তাঘাট, আলো, নিকাশি ব্যবস্থা, জল সরবরাহের মতো নাগরিক পরিষেবা প্রদান পুরসভার অগ্রাধিকারে থাকা উচিত। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। গত বছরের পর এবার কেন মৃত্যু ঠেকানো গেল না, তা নিয়ে সরব বিরোধীরা। ডেঙ্গি নিয়ে পুরসভার ভূমিকা যখন প্রশ্নের সম্মুখীন তখন এ ধরনের উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুরকর্তাদের একাংশ।
যার প্রেক্ষিতে প্রদীপ বলেন, ‘‘মহিলাদের উন্নতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের অনুপ্রেরণা। রাস্তাঘাট, নর্দমা, ডেঙ্গি সচেতনতার পাশাপাশি, সার্বিক চেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এগুলোও প্রয়োজন। শুধু জিম কেন? মহিলাদের জন্য কালিন্দী স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুর্ধ্ব ১৪ সেলফ ডিফেন্স অ্যাকাডেমিও চালু করবে পুরসভা। ক্যারাটে, মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এসবের প্রয়োজন না থাকলে পুরসভায় ক্রীড়া বিভাগ রয়েছে কেন!’’ যাঁর প্রস্তাবের ভিত্তিতে জিম সেই সঞ্জয় বলেন, ‘‘জিম তৈরির কথা বলেছিলেন এলাকাবাসী। পুরসভা তাঁদের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিচ্ছে মাত্র।’’
জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যের নিরিখে এক পুরকর্তার মন্তব্য, ‘‘জিম হোক। সঙ্গে পুর পরিষেবাও হোক স্লিম-জিম-ট্রিম!’’