হাওড়ার বাগনানে বাস-ট্যাঙ্কার সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক শিশুর। জখম হয়েছেন প্রায় ৩০ জন।
মঙ্গলবার বাগনানে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দিঘাগামী একটি সরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি জলের ট্যাঙ্কারকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় জেরে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে মারা যায় সাত মাসের এক শিশু। তার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাদামতলা-দিঘা রুটের বাসটি এদিন বেশ জোরেই যাচ্ছিল। সকাল ১১টা নাগাদ বাগনানের চন্দ্রপুর এলাকায় রাস্তার বাঁদিকে একটি গাড়িকে পাশ কাটিয়ে যেতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জাতীয় সড়কের ধারে গাছগুলিতে জল দেওয়ার জন্য রাস্তার পাশে একটি ট্যাঙ্কার দাঁড়িয়ে ছিল। বাসটি অন্য একটি গাড়িকে ‘ওভারটেক’ করতে গিয়ে ট্যাঙ্কারটিকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে। বাসের পিছনেই ছিল একটি মারুতি। সেটিও ওই মুহূর্তে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির পিছনে ধাক্কা মারে। গতি বেশি থাকায় বাসের সব যাত্রীই ছিটকে পড়ে যান। বাসযাত্রী এক মহিলার কোলেই ছিল তাঁর সাত মাসের সন্তান। কোল থেকে ছিটকে পড়ে যায় সে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা। গুরুতর আহত যাত্রীদের উলুবেড়িয়া ও বাগনান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনজনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং রেষারেষির জন্য দুর্ঘটনা বাড়ছে। যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সক্রিয় নয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। হাওড়ার গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি (ট্র্যাফিক) অনির্বাণ হোমরায় বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, পূর্ত দফতর এবং রোড সেফটি কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণে বাড়তি পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।