রাস্তায় পড়ে থাকা গরম পিচ শরীরের অনেকখানি জায়গায় লেগে গিয়েছিল একটি সারমেয়র। খোদ সরকারি অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটলে ও কুকুরটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি কেউই। গরম পিচে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিল কুকুরটি। রীতিমত যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে কুকুরটি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ক্যানিং-এর পিডব্লিউডি বাংলোর সামনে। অবশেষে ক্যানিং এর কয়েকজন যুবকের কুকুরটিকে বাঁচাতে উদ্যোগী হন। নিজেদের চেনাশোনা এক পশু চিকিৎসককে ডেকে এনে ওই কুকুরটির শরীর থেকে পিচ সরালেন সাহেব, ষষ্ঠী এবং মহিষরা। ফলে আপাতত স্বস্তি পেল কুকুরটি।
দিন দুয়েক আগে ক্যানিং-এর জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মূল গেটের সামনে একটি কুকুরের শরীরের অনেকখানি অংশে পিচ আটকে গিয়েছিল। কুকুরটির দুই সন্তানের গায়ে ও লাগে গরম পিচ। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আগেই কুকুরটির দুই শাবক মারা যায়। বিষয়টি জানতে পেরেই ক্যানিং-এর পশু প্রেমী সংগঠনের কয়েকজন যুবক কুকুরটিকে উদ্ধার করেন।
শরীর থেকে পিচ ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। এই কাজ করতে গিয়ে গিয়ে দুই যুবক কুকুরের কামড়ও খান। কিন্তু তবু সে সব কিছু উপেক্ষা করেই বন্ধু পশু চিকিৎসক রিমির সহযোগিতায় কুকুরটির শরীর থেকে দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় পিচ ছাড়ান তাঁরা। এর পর কুকুরটিকে অ্যান্টিবায়োটিক ও পেনকিলার ওষুধ দেওয়া হয়। ঘটনার বেশ কয়েকঘন্টা বাদে কুকুরটি সুস্থ বোধ করায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
যুবকদের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।