নতুন দলের অন্যতম আবেদনকারী প্রবাল রাহা এদিন জানিয়েছেন, বিহারের নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যস্ততা কাটিয়েই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে কমিশন।
নতুন দল সংক্রান্ত কাজের তদ্বির করতে সোমবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন মুকুল রায়। তবে এখনও তৃণমূলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন না হওয়ায় তিনি নির্বাচন কমিশনে যাননি। কমিশনে গিয়েছিলেন প্রস্তাবিত দলের সভাপতি অমিতাভ মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রবাল-সহ অন্য দুই নেতা প্রদীপ ঘোষ (আগে কংগ্রেসি। মাঝখানে বিজেপি) এবং ফরিদ খান।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সচিবের সঙ্গে আলোচনায় পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান তাঁরা। সেই সঙ্গে নতুন দলের জন্য আর কোনও তথ্য বা নথি জমা দিতে হবে কি না, তা-ও জানতে চান আবেদনকারীরা। আপাতত নতুন করে কোনও নথি জমা দেওয়ার নেই বলেই কমিশনের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে। দিল্লি গেলেও কমিশনে যাননি ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত।
সাসপেন্ড করা হলেও শীলভদ্র এখনও দল ছাড়েননি। তাই নতুন দল নিয়ে আলোচনা করতে তিনি নির্বাচন কমিশনের দফতরেও যাননি। এদিন কমিশনে না গেলেও মুকুল অবশ্য নতুন দল তৈরির আগে দিল্লিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারছেন। এদিন সঙ্গীদের নিয়ে তিনি নিজামুদ্দিনের দরগায় চাদর চড়াতে গিয়েছিলেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরানো যে মুকুলের অন্যতম লক্ষ্য, তা তাঁর নিজামুদ্দিন দরগা সফরেও স্পষ্ট। বিভিন্ন শিবিরের বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতার সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে মুকুলের।