রানিগঞ্জ-আসানসোলে যা হয়েছে, তা ‘অনভিপ্রেত’। কলকাতা ফিরে ওই বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন। শনিবার আসানসোলে এসে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
এদিন সকাল ৮টায় রাজভবন থেকে বেরোয় রাজ্যপালের কনভয়। সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি আসানসোল পৌঁছোন। সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে। বৈঠকে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক শশাঙ্ক শেট্টি। প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠক শেষে তিনি প্রথমে আসানসোলের চাঁদমারি, কল্যাণপুর, কসাইমহল্লা-সহ একাধিক এলাকায় যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল।
বিকেলে রানিগঞ্জে তিনি বলেন, ‘‘এখানে যা হয়েছে তা অনভিপ্রেত। কলকাতায় ফিরে এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’’ এর আগে সার্কিট হাউসে তিনি বলেন, ‘‘আমি আসানসোল-রানিগঞ্জে শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি প্রয়োজন।’’
সার্কিট হাউসেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন জেলা বিজেপি’র দুই নেতা লক্ষ্মণ ঘোড়ুই এবং পবন সিংহ। জেলা বিজেপি’র এক নেতার কথায়, ‘‘প্রশাসন রাজ্যপালকে অশান্ত এলাকাগুলিতে যেতে দিচ্ছিল না। যে রুটম্যাপ তৈরি করা হয়েছিল তাতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলির উল্লেখ ছিল না। আমরা রাজ্যপালের কাছে একটি বিকল্প রুট ম্যাপের প্রস্তাব দিই।’’
কল্যাণপুরে বেশ কয়েকদিন একটি শরণার্থী শিবির চলছিল। সেখানে ছিলেন শ্রীনগর এলাকার কয়েকশো ঘরছাড়া। রাজ্যপাল সেখানে পৌঁছনোর আগেই তা তুলে নেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রত্নেশ্বর হাজরা বলেন, ‘‘শিবিরে কতজন, ক’দিন ধরে ছিলেন তা রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন।’’ চাঁদমারি এলাকায় রাজ্যপাল একাধিক ভাঙা দোকানের ভিতরে যান। তাঁর সামনেই পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান স্থানীয়দের একাংশ। ললিতা সাহা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আশা করব, রাজ্যপাল ব্যবস্থা নেবেন।’’ স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান রাজ্যপালের কাছে। এদিন রানিগঞ্জেরও বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে এদিন রানিগঞ্জে মিছিল করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে আসানসোলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।