মদ্যপ অবস্থায় সমুদ্র সৈকতে গাড়ি দুর্ঘটনা, সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু— দিঘা বা মন্দারমণিতে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু তার পরেও কি সতর্ক হয়েছে প্রশাসন?
কয়েক মাস আগেই মন্দারমণি, দিঘা, তাজপুরে ঘটেছে নানা রকম দুর্ঘটনা। তার পরেও টনক নড়েনি পর্যটক ও প্রশাসনের। উদয়পুর সমুদ্র সৈকতে চিত্রটা চোখে পড়লে চমকে উঠবেন! বিচের উপর বসেই চলছে প্রকাশ্যে মদ্যপান। দিঘা-মন্দারমণিতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি, প্রহরা লাগানো হয়েছে সি সি টিভি। কিন্তু উদয়পুর যেন মুক্তাঞ্চল। পর্যটকরা খোশ মেজাজে দিনের আলোতেই বিচে বসে চুমুক দেন গ্লাসে। নেই পুলিশের টহলদারি বা চোখরাঙানি। যদি দোকান থেকে কেউ কিনে নিয়ে যেতে ভুলে যায়, চিন্তার কারণ নেই। বিচেই ডাব দোকানে পাওয়া যাবে আপনার মনের মত ‘হার্ড ড্রিংকস’।
পর্যটকরা জানান রাস্তায় ধরপাকড় হলেও, উদয়পুর বিচে কোন চিন্তা নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গ্লাসে চুমুক লাগালেও শ্রীঘরে যাওয়ার ভয় নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রকাশ্য দিবালোকে বিচে চলে মদ্যপান। পর্যটকরা কোনও বিধি নিষেধ শোনেনা। তবে দোকানদাররা মুখে কুলুপ এঁটেছে।
উদয়পুর বিচ নিয়ে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ, দুই রজ্যের মধ্যে বিবাদ চলে আসছে বহুদিন ধরেই। কারণ এই বিচের কিছুটা এ রাজ্যে, ও কিছটা ওড়িশার মধ্যে পড়ে। দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান অখিল গিরি জানান, এ রাজ্যের পর্ষদ যা ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে অনেক কমে এসেছে সমুদ্রসৈকতে বসে মদ্যপান করা। এখন খতিয়ে দেখতে হবে ওড়িশার অংশের দিকে কেউ এসব করছে কিনা। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, বেশির ভাগ পর্যটকরা বাইরে থেকেই মদ কিনে নিয়ে যান। অভিযান চালিয়ে বিচে মদ বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে অনেকটাই। এ ছাড়া, বাড়ান হবে পুলিশি প্রহরাও।
প্রসঙ্গত, উদয়পুরের বিচে ও সাগরের জলে অনেককেই দেখা যায় ডাব হাতে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে যে তাঁরা ডাবের জল উপভোগ করছেন। কিন্তু, না! ডাবের খোলের ভেতরে জনের বদলে থাকে বিয়ার বা পছন্দের পাণীয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া
স্থানীয় বাসিন্দা