বিপদ ওত পেতে রয়েছে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়-সহ শহরের বিভিন্ন রাস্তায়! হাঁ করে রয়েছে সারি সারি গর্ত। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওইসব গর্তে পড়ে পা মচকাচ্ছেন বহু পথচারী। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ নিয়ে পুরসভা থেকে প্রশাসন, কারও হেলদোল নেই।
পুজোর ভিড় সামাল দিতে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, হাতিবাগান, বাগবাজার এলাকায় রাস্তার ধার খুঁড়ে বসানো হয়েছিল শালের খুঁটি। পুজো চুকলেও ‘স্মৃতিচিহ্ন’ হিসাবে বহাল রয়েছে গর্তগুলি। তাতেই পা পড়ে চোট পাচ্ছেন পথচারীরা।
শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন ফুটপাথের হকার রাম দাস বলেন, ‘‘চোখের সামনে প্রতিদিনই অনেককে পড়ে পায়ে চোট পেতে দেখছি। অন্ধকারে গর্ত ঠাহর করতে পারছেন না অনেকে। কেউ আবার বাস বা মেট্রো ধরার তাড়ায় বেখেয়ালে গর্তে পা পড়ে রাস্তায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন!’’
বাস ধরতে গিয়ে ওইরকম গর্তে পড়েই চোট পেয়েছেন পাইকপাড়ার বাসিন্দা চন্দন দে। তাঁর আত্মীয়া প্রত্যাশা দে’র কথায়, ‘‘আমার ভাই ওষুধ কিনতে গিয়েছিল শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে। গর্তে পড়ে পায়ে চোট পেয়েছে। পুজো শেষ হলেও রাস্তায় খুঁড়ে রাখা গর্তগুলি ভরাট করবে কে? ব্যস্ত রাস্তায় এই মরণফাঁদ কি কারও চোখে পড়ছে না!’’
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার উদ্যান দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যেখানেই পুজো হয়, সেখানে পুজো সংগঠকদেরই বলা হয় সংলগ্ন জায়গা মেরামতি করে দিতে। রাস্তায় যা করা হয় তা ট্র্যাফিক পুলিশের পরামর্শ নিয়েই করা হয়। সেগুলি সারিয়ে দেওয়ার দায়িত্বও পুজো কমিটিগুলির। তারা না করে থাকলে তা ঠিক হয়নি।’’ দেবাশিস জানান, সেক্ষেত্রে পুরসভাই গর্ত মেরামতি করবে। প্রয়োজনে পুজো কমিটির থেকে সে বাবদ খরচও চাইতে পারে পুরসভা।