পর পর কন্যাসন্তান হওয়ার মাশুল দিতে হল গৃহবধূকে! মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার বারগোদা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে ময়নার তিলখোজার সোমাশ্রীর সঙ্গে নন্দকুমারের বোরগোদার অভিজিৎ মাজির বিয়ে হয়। সোমাশ্রীর বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণ নিয়ে মেয়ের উপরে প্রায়ই অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সোমাশ্রীর দু’টি মেয়ে রয়েছে। একজনের বয়স তিন এবং অন্যজনের বয়স
দুই বছর।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রথম সন্তান কন্যা হওয়ার পর থেকেই সোমাশ্রীর উপর বেজায় চটে ছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারমধ্যে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান হওয়ায়, তাঁরা আরও চটে যান। অত্যাচারের মাত্রাও বেড়ে যায়।
মঙ্গলবার সেই অত্যাচার চরম আকার ধারণ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, সোমাশ্রী যখন রান্না করছিল তখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিছন থেকে প্রেশার কুকারের রাবার গলায় লাগিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। খুন করার পর দেহটিকে একটি কাপড়ে বেঁধে সিঁড়ির কাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি।
সোমাশ্রীর বাপেড়বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে, শাশুড়ি মঞ্জু মাজিকে নন্দকুমার থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু স্বামী অভিজিৎ মাজি ,শ্বশুর আশিষ মাজি ও ননদ অনিমা দাস এখনও ফেরার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নন্দকুমার থানার পুলিশ।