কলকাতার কালীপুজো মানেই দেদার কালীপটকা, আর বুড়িমার চকলেট বোমা। সেই চেনা দৃশ্য কার্যত বদলে গেল এবছর।
২৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দশনামায় জানিয়েছিল পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে এমন বাজি পোড়ানো যাবে না। একই সঙ্গে বলা হয়েছিল, উচ্চ শব্দমাত্রার শব্দবাজি (সর্বোচ্চ) পোড়াতে হবে রাত আটটা থেকে দশটার মধ্যে।
এই অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেল কলকাতার শব্দবাজি পোড়ানোর হিড়িকে। বিধিনিষেধের বাইরে যে দু’ঘণ্টা তাতেও দেখা গেল শহর এবং শহরতলির বাইরের বহু মানুষ শব্দবাজির মাস্তানি থেকে নিজেদের দূরে রাখলেন।
বাজির দাপটে কুকুরের ত্রাহিরব আর পর দিন সকালে গাছে ঝুলে থাকা মৃত পাখিদের স্তূপ। প্রতিবারের মতোই এই দৃশ্য যাতে দেখতে না হয়, তার জন্যে প্রথম থেকেই প্রচার চালিয়েছিল নানা সংগঠন। তেমনই এক সংস্থা ‘সবুজ মঞ্চ’ থেকে এক সর্বভারতীয় দৈনিককে জানানো হয়েছে, এ বছর উত্তর কলকাতায় শব্দবাজির দাপট দক্ষিণ কলকাতার তুলনায় কম। যদিও চন্দননগর, নৈহাটি এই সমস্ত অঞ্চলে শব্দদানব বারবার মাত্রা ছাড়িয়েছে বলে অভিযোগ।এক সর্বভারতীয় গণমাধ্যমকে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ২৫০০ এর বেশি পুলিশ রাস্তায় মোতায়েন করা ছিল। বিকেল ৪টে থেকে ১১টা পর্যন্ত ৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে।
প্রসঙ্গত, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে তিলজলা, ঠাকুরপুকুর, সরশুনা থানায়।তবে সব মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ‘সবুজ’ দীপাবলি পালনের ডাক বেশ সফল। পরিবেশ বাঁচাতে নাগরিকদের এই শুভবুদ্ধি অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।