তৃণমূলনেত্রীর মন পেতে তিনি মরিয়া। সেই লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের তাবড় নেতারা যা পারেননি, কলকাতায় বসে তাই করে দেখালেন কুণাল ঘোষ। তাঁর মধ্যস্থতাতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদে নির্দল হিসেবে জয়ী বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। ফলে বিরোধীশূন্য হল কোচবিহার জেলা পরিষদ।
এ দিন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে কৃষ্ণকান্ত বর্মন নামে ওই জয়ী প্রার্থীকে নিয়ে যান কুণাল। সেখানেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা পার্থবাবুকে জানান কৃষ্ণকান্ত। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে সেকথা জানান তৃণমূল মহাসচিব। যদিও, এক বারের জন্যও এর জন্য কুণাল ঘোষকে কৃতিত্ব দেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কৃষ্ণকান্ত বর্মন নামে ওই তৃণমূল নেতা কোচবিহার জেলা পরিষদের আগের বোর্ডের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। তা সত্ত্বেও এবারে তৃণমূল তাঁকে টিকিট দেয়নি। এর পরেই নির্দল হিসেবে লড়ে জয়ী হন ওই বিক্ষুব্ধ নেতা।
কুণালের সঙ্গে কৃষ্ণকান্তের বরাবরই ভাল সম্পর্ক। কুণালের সাংসদ তহবিলের টাকায় নিজের এলাকায় সেতু, স্কুল গড়েছিলেন কৃষ্ণকান্ত। সেকথা সাংবাদিক বৈঠকে পার্থবাবুও স্বীকার করে নেন। বন্যার সময়েও কৃষ্ণকান্তকে সাহায্য করেন কুণাল। কৃষ্ণকান্ত জেতার পরেই তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় বিজেপি। কিন্তু কুণালের পরামর্শেই ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কৃষ্ণকান্ত।
দেখুন ভিডিও
কুণাল ঘোষ সদ্য হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। জ্বর-সহ নানা সমস্যা নিয়ে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁকে বেড রেস্ট নিতে বলেছেন। যদিও, সেই পরামর্শ উপেক্ষা করেই এ দিন কৃষ্ণকান্তকে নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি যান কুণাল। যদিও, এ বিষয়ে সাংবাদিককেদের কিছু বলতে চাননি তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত এই প্রাক্তন সাংসদ। ফলে, বিক্ষুব্ধ নেতাকে দলে ফেরাতে সেতুবন্ধনের যে কাজ কুণাল করলেন, তাতে শাসক দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কমে কি না, তা সময়ই বলবে।