আগে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে লালবাজারের তুলনা হতো। ধীরে ধীরে সেই সুনাম অনেকটাই ফিকে হয়েছে। সেই হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী লালবাজার।
লালবাজারের কর্তারা জানাচ্ছেন, হাতে গোনা কয়েকটি মামলা রয়েছে, যেগুলির মূল অভিযুক্তের নাগাল পেতে নাজেহাল হয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা অফিসারেরা।
এবার তাই রহস্যের কিনারায় বিদেশি গোয়েন্দা-তথ্যচিত্রের শরণ নিলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা কর্তারা। পুলিশ সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে রীতিমতো মাল্টিপ্লেক্সে বসে প্রায়
২০০ জন গোয়েন্দাকে তথ্যচিত্র দেখানো হল। সঙ্গে ‘ক্লাস’ নিলেন কর্তারা।
কয়েকটি মামলার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, খুন হয়েছে। তদন্ত-ও এগিয়েছে। কিন্তু খুনি কে, এই পর্যায়ে এসে থমকে দাঁড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা। সেই রকম মামলার ‘মিসিং লিঙ্ক’ খুঁজে বার করার জন্য একজন তদন্তকারী অফিসারের কী করা উচিত, সেই ধারণা দিতে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের দেখানো হল বিদেশি গোয়েন্দা তথ্যচিত্র। যেখানে জটিল
খুনের মামলার কিনারা কী ভাবে সম্ভব হয়েছে, ‘মাস্টারমাইন্ড’ কী ভাবে ধরা পড়েছে, সেই সব বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অফিসারদের তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছে। তদন্তে মিসিং লিঙ্ক খুঁজে বার করার ক্ষেত্রে কী করা উচিত, তার একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা।’’ গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, কিনারা হয়নি, এমন মামলার সংখ্যা খুবই কম। নেই বললেই চলে। কিন্তু জটিল অপরাধের ক্ষেত্রে কী মাথায় রাখা উচিত তার একটা ইঙ্গিত তথ্যচিত্র থেকে মিলেছে।