বিরোধী দলে থাকার সময়ে পরিবহণ শ্রমিকদের আন্দোলনই নেতার আসনে বসিয়েছিল মদন মিত্রকে। এখন তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলেও তিনি দলের ‘পিছনের সারি’তে। ফের পরিবহণকেই তিনি পাখির চোখ করেছেন মূলস্রোতে ফেরার জন্য।
অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে চালক-মালিকদের ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। দিল্লি, মুম্বইয়ে ইতিমধ্যেই অ্যাপ-ক্যাব সংস্থার বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলন হয়েছে। একই ভাবে এখানে অ্যাপ-ক্যাবের বিরুদ্ধে মালিক-চালকদের আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে এলেন মদন। সম্প্রতি অ্যাপ-ক্যাবের মালিক-চালকদের নিয়ে একটি সংগঠন তৈরি হয়েছে। যার নাম ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’। তার প্রথম সভাপতি হয়েছেন মদনই। সভাপতি হয়েই তিনি হুঙ্কার দিয়েছেন, আগামী ২৪ এপ্রিল উবার-এর সদর দফতরে স্মারকলিপি দিতে যাবে ওই সংগঠন। পর দিন, ২৫ এপ্রিল তাঁরা যাবেন ওলা-র অফিসে। সংস্থাদু’টি সাত দিনের মধ্যে সংগঠনের দাবিদাওয়া না মানলে আরও বড় আন্দোলনে যাওয়ার কথা ভাববেন তাঁরা।
মদনের নিজের কথায়, ‘‘অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি রাজ্যে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিল। কিন্তু ব্যবসা শুরু করার পরে চালক এবং মালিকদের শুষে নিচ্ছে। মালিকেরা গাড়ি চালিয়ে মাসিক কিস্তি দেওয়ার টাকাও জোগাড় করতে পারছেন না। লাভের গুড় সবই সংস্থাগুলি খেয়ে চলে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন।’’ তবে আন্দোলন মানে যে সংস্থাগুলির কাজকর্ম লাটে তুলে দেওয়া নয়, তা-ও এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। মদন বলেন, ‘‘রাজ্যে যে কোনও রকম বন্ধ, ধর্মঘট যে চলবে না, তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন। তাই এখানে আমরা পরিষেবা বন্ধ করতে চাই না। কিন্তু চালক, মালিকদের ন্যায্য পাওনা সংস্থাগুলিকে দিতে হবে। তার দাবিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।’’
অপারেটর্স গিল্ডের মূল দাবি, মালিকদের ট্রিপ-প্রতি অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এক মালিকের কথায়, ‘‘অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাদু’টি ইচ্ছেমতো যাত্রীদের কাছ থেকে সার্জ দাবি করছে। অথচ, তার সিকিভাগও আমরা পাচ্ছি না। এটা দিনের পর দিন চলতে পারে না।’’