ব্যক্তি একজন। কিন্তু তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে দড়ি টানাটানি মমতা ও মোদী সরকারের। ব্যক্তিটি হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিলেও রাজ্যও চাইছে, তারাই নিরাপত্তা দেবে বিজেপি নেতাকে। কারণ, আইনশৃঙ্খলা দেখা রাজ্যের বিষয়।
যদিও রাজ্য সরকার নিরাপত্তা দিতে আগ্রহী, তবু তারা আজ হাইকোর্টে বলতেই পারল না, কোন ক্যাটেগরির নিরাপত্তা তারা মুকুলকে দিতে চায়। উলটে কোর্টের কাছে এক সপ্তাহ সময় চাইল রাজ্য। ফলে মামলা পিছলো দু'সপ্তাহ।
অথচ বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীই মুকুলের ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তার বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা করেন।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে, রাজ্যের অতিরিক্ত আডভোকেট জেনারেল (এএজি) অভ্রতোষ মজুমদার বলেন, মুকুল রায়কে রাজ্য সরকার প্রথমে নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই বিজেপি নেতা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর পর তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকার ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেয়। তবে রাজ্য চায়, তারাই নিরাপত্তা দেবে মুকুলকে।
কেন্দ্রের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল(এএসজি) কৌশিক চন্দ্র।
ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, মুখবন্ধ খামে কেন্দ্রীয় সরকার রিপোর্ট দিয়ে জানাক, কিসের ভিত্তিতে নিরাপত্তার ক্যাটেগরি ভাগ করা হয়। এছাড়া মুকুলের প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা কেন দেওয়া হচ্ছে, সেটাও জানানো হোক মুখবন্ধ খামে।