অসমে ইস্যুতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার অসমে ৪০ লক্ষ মানুষকে অনাগরিক ঘোষণা করার পরই প্রেস কনফারেন্সে করে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। জানালেন, ‘‘এটা বাঙালি খেঁদাও চলছে। এদের পুশব্যাক করা হচ্ছে। এই মানুষগুলিকে যদি বাংলাদেশ ফিরিয়ে না নেয়, তখন এরা কোথায় যাবে? ভারত সরকারের উচিত ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে বলে মিটিং করা। আমার সঙ্গে কেউ কথা বলেনি এই বিষয়ে। আজ হঠাৎ করে এক কলমে বাদ দিয়ে দেওয়া হল।’’
সেই সঙ্গে তিনি জানান, ‘‘অসমের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট। বৈধ তথ্য থাকা সত্ত্বেও অনেকের তালিকায় নাম ওঠেনি। ৪০ লক্ষ বাঙালিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মনে রাখবেন এরা কিন্তু রোহিঙ্গা নয়। এদের মধ্যে ৪-৫ পুরষ ধরে ওখানে রয়েছেন। কেউ কেউ বাংলাদেশ গঠন হওয়ার পর থেকে রয়েছেন। ৭১-এ যারা এসেছিলেন তাঁরা অফিসিয়ালি ভারতীয়। আজ দেশের মধ্যে থেকেই এরা রিফিউজি হয়ে গেলেন। ১৫ কোম্পানি বাড়িত বাহিনী নিয়ে এদের বুলডোজ করা হবে না তো? সন্দেহ তৈরি হচ্ছে কারণ সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ, ভারত সরকার ডিভাইড অ্যাণ্ড পলিশি রুল চালাচ্ছে, ৪১ হাজার মানুষ নিখোঁজ কেন? আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার চুপ ছিল।’’
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘‘ বাংলায় আসার কথা বললে আমরা ভাবব, কিন্তু তাঁদের তাড়াবে কেন। ইউনাইটেড নেশনের রেজলিউশন আছে রিফিউজিদের আশ্রয় দিতে হবে। আমরা এদের পাশে রয়েছি।’’
মুখ্যামন্ত্রী সপাট জানালেন, এই ‘অনাগরিক’ মানুষদের পাশে তার থাকা শুধু বাঙালি হিসেবেই নয়। বললেন, ‘‘এমন অবস্থায় আমি বাঙালিদের সঙ্গে আছি, বিহারিদের সঙ্গেও আছি।’’