বেশ কয়েক বছরের পুরনো প্রেম। বাড়ির লোকেদের আপত্তি সত্ত্বেও কোনওদিন সম্পর্ক ভাঙার কথা ভাবেননি বছর ৩৫-এর শুভলগ্না। কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে রেজিস্ট্রি করেন শুভলগ্না ও সুলতান। শেষে পরিবারের লোকেদের কথা শুনে সম্পর্ক বিচ্ছেদের পথেই হাঁটতে চান তিনি। কিন্তু ডির্ভোস করতে গিয়েই সুলতানের সঙ্গে বচসায় জড়ায় শুভলগ্না।
বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় শুভলগ্নার বাড়ির সামনেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে সুলতান। শুভলগ্নার বাবা-মায়ের উপর হামলা চালায় সে।
হুগলির কোন্নগরের করাতি পাড়ায় এখনও চাপা আতঙ্ক। এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায়, এত বছরের প্রেমের এই পরিণতি হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। শুভলগ্নার বাড়ির পিছনেই সুলতানের বাড়ি। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় পাঁচিল টপকে শুভলগ্নার বাড়িতে ঢোকে সুলতান। তার পরেই গুলি করে হত্যা করে শুভলগ্নাকে। বাধা দিতে গেলে সুলতানের রোষের মুখে পড়ে শুভলগ্নার বাবা ও মা। লোহার রড দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়।
শুভলগ্নার পরিবারের অভিযোগ, ধর্মীয় পরিচয় গোপন করেই সুলতান সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল শুভলগ্নার সঙ্গে। এতেই বাড়ে বিপত্তি।
পুলিশ অবশ্য ইতিমধ্যে সুলতানকে গ্রেফতার করেছে।