ট্রেডমিলে শরীরচর্চার সময়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল বহুজাতিক সংস্থার এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর। মৃতের নাম অমর এম (৩০)। বাড়ি কর্নাটকের মাইসুরুতে। ওই ঘটনায় নিউটাউন থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শরীরচর্চার সময়েই কোনও কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অমর। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা। বিধাননগর সিটি পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান সন্তোষ পাণ্ডে বলেন, ‘‘একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।’’
নিউটাউনে নজরুল তীর্থের কাছেই একটি বেসরকারি আবাসনের বাসিন্দা অমর এক সপ্তাহ আগে থেকে ওই আবাসনেরই জিমে যাওয়া শুরু করেছিলেন শরীরচর্চার জন্য। শনিবার সকালেও ৮টা নাগাদ সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। জগিং করার সময় আচমকাই ট্রেডমিল থেকে ছিটকে পড়েন অমর। সঙ্গে সঙ্গে জিমের কয়েকজন সদস্য ছুটে যান। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা অমরকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, অমরের বুকে কিছু দাগ রয়েছে যা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, তাঁর হৃদরোগ সংক্রান্ত কোনও অপারেশন হয়েছিল। এদিন অমরের দেহে দু’টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলেও তা ‘সন্দেহজনক’ মনে হয়নি তদন্তকারীদের। তাঁদের মতে, ট্রেডমিল থেকে পড়ে গিয়েও ওই ধরনের আঘাত লাগতে পারে।
ইতিমধ্যেই ঘটনার সময়ে জিমে থাকা অমরের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। তাতে ‘সন্দেহজনক’ কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
ট্রেডমিলে অমর কত কিলোমিটার গতিতে জগিং করছিলেন তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদযন্ত্রে কোনও সমস্যা থাকলে শরীরচর্চার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। যদি কেউ হৃদরোগী না-ও হন, সেক্ষেত্রেও প্রশিক্ষকের নির্দেশ এবং পরামর্শ নিয়েই শরীরচর্চা করা উচিত। অমরের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষকের কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।