চিকিৎসার নাম করে মাকে নিজের কাছে নিয়ে গিয়ে সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল মেয়ের বিরুদ্ধে৷ সম্পত্তি লিখে নিয়ে মাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে অভিযুক্ত মেয়ে। না গেলে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। অভিযুক্ত মেয়ে হাসি কর্মকারের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আটাত্তর বছরের বৃদ্ধা ভানুমতী কর্মকার।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বোড়াল শ্রীপুর এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
বিগত ৩৫ বছর ধরে নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত এই শ্রীপুরে বসবাস করছেন ভানুমতী কর্মকার। মোট দু’ কাঠা জমির উপরে তৈরি বাড়ি পুরটাই ওই বৃদ্ধার নামে। তাঁর সাত ছেলে ও এক মেয়ে। ভানুমতীদেবী ছাড়াও এই শ্রীপুরের বাড়িতে তাঁর মেজ ছেলে ও ছোট ছেলে থাকেন। একমাত্র মেয়ে হাসি কর্মকার থাকে বাগুইআটি থানার জ্যাংরা এলাকায়।
অভিযোগ, বছরখানেক আগে মায়ের চোখের চিকিৎসা করবার নাম করে হাসি কর্মকার ভানুমতীদেবীকে নিজের বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার আগে মায়ের আলমারি খুলে সম্পত্তি সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ নথিও নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। কলকাতায় চিকিৎসা করাতে হলে সই করতে জানতে হবে বলে মাকে নিজের কাছে রাখে হাসি। তার পর বিভিন্ন কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।
কিছু দিন পরে মাকে আবার শ্রীপুরের বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে যায় হাসি। এর পর সব চুপচাপই ছিল, কিন্তু শনিবার আচমকা হাসি শ্রীপুরের বাড়িতে এসে মা ও ভাইদের বাড়ি খালি করে দেওয়ার জন্য বলে। তখনই ভানুমতীদেবী বুঝতে পারেন যে, মেয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। হাসপাতালের কাগজের নাম করে বাড়ি লিখিয়ে নিয়েছে তাঁর থেকে। এই বাড়ি ভেঙে সেখানে ফ্ল্যাট তৈরি করার জন্য প্রমোটারের সঙ্গে কথাও বলেছে বলে হাসি তার মা ও ভাইদের জানিয়েছে। তাই অবিলম্বে বাড়ি ছাড়ার কথা বলে সে।
মেয়ের কাছে প্রতারিত হয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভানুমতীদেবী। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।