পরিকাঠামো খাতে এবার উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। গোটা রাজ্যের প্রায় সব জেলাই পরিকাঠামো উন্নয়নের কিছু না কিছু প্রকল্প পাবে।
শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিকাঠামো বাড়লে বিনিয়োগ আরও বাড়বে। কৃষি, শিল্প উভয়ক্ষেত্রে পরিকাঠামো বাড়ানো উচিত। আগের সরকার শুধু মাইনে দিত, পরিকাঠামো বাড়াত না।’’
রাজ্যের পরিকল্পনা, সেতু বা উড়ালপুল মিলিয়ে ১০টি পরিকাঠামো তৈরি করবে রাজ্য। তারমধ্যে আটটিই কলকাতা বা তার লাগোয়া এলাকায়।
যেমন, উত্তর কলকাতার মানিকতলা ক্রসিং থেকে এ জে সি বোস রোড পর্যন্ত ১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি উড়ালপুল বানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণেশ অ্যাভিনিউ থেকে এম জি রোড ক্রসিং পর্যন্ত আরও একটি উড়ালপুল হবে। হবে শিয়ালদহ উড়ালপুল থেকে স্টেশন পর্যন্ত আরও একটি র্যাম্প। দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট রোড সাউথে একটি এবং তারাতলা থেকে টালিগঞ্জ হয়ে আনোয়ার শাহ্ রোড দিয়ে যাদবপুর ফাঁড়ি পর্যন্ত আরও একটি উড়ালপুল নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে!
রাজারহাটের দিকে সল্টলেকের কলেজমোড়ের কাছে একটি উড়ালপুল এবং ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস থেকে নিউটাউন পর্যন্ত ‘এলিভেটেড করিডর’ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। কালনায় ভাগীরথী নদীর উপর সেতু-সহ একাধিক রাস্তার লেন সংখ্যা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। একাধিক এলাকায় জল সরবরাহের নতুন পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে পূর্ত এবং নগরোন্নয়ন দফতরের জন্য যথাক্রমে ৬১৯৫ ও ২৮৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য।
নতুন মজুতকেন্দ্র তৈরির লক্ষ্যে সাড়ে ৮০০ কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে। কোলাঘাট এবং সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়েকটি ইউনিটের আধুনিকীকরণ এবং সংস্কারের জন্য বিদ্যুৎ দফতরকে ২২৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগের তুলনায় বরাদ্দ প্রায় ছ’গুণ বাড়িয়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থের সংস্থান করেছে রাজ্য। এরপরও অতিরিক্ত প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা সম্প্রতি বরাদ্দ করা হয়েছে।